হরতাল-অবরোধেও খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশের উন্নতি
খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি ৩ শতাংশ উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২৩) হাউজহোল্ড ফুড সিকিউরিটি সার্ভে ব্রিফে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনকেন্দ্রিক হরতাল-অবরোধের মধ্যেও খাদ্য নিরাপত্তার উন্নতি অব্যাহত ছিল। খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির আগের মাসের তুলনায় ৩ শতাংশ উন্নতি হয়েছে। ফসল কাটার সময় কৃষি আয়ের কারণে কিছুটা আয় বৃদ্ধি এবং ক্রয়ক্ষমতার স্থিতিশীলতা ছিল। তবে যারা দিনমজুর এবং সল্প সময়ে কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল তাদের ওপর এর প্রভাব ব্যতিক্রম ছিল।
এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক পরিবারগুলোও এই মাসে আয় বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। রাজনৈতিক হরতাল ও অবরোধের কারণে কয়েকটি এলাকায় কিছু কঠিন সময়ের খবর পাওয়া গেলেও দেশব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার উন্নতি অব্যাহত রয়েছে।
জরিপ বলছে, প্রতিবেদনের সময়কালীন মাসগুলোতে ভারী বর্ষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ধান ও সবজি চাষের কর্মসংস্থানের কারণে তাদের আয়ের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। বর্ষা মৌসুমের পর নতুন নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় আয় বাড়ার কথাও জানান শ্রমিকরা।
জরিপে দেখা গেছে, নিম্ন আয়ের ৩০ শতাংশ পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, যেখানে মাঝারি আয়ের পরিবারে এই হার ৮ শতাংশ এবং উচ্চ আয়ের পরিবারে ৩ শতাংশ। উন্নতি সত্ত্বেও উচ্চ খাদ্যের দাম, উচ্চ স্বাস্থ্য ব্যয় এবং ঋণ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার চালিকা শক্তি হিসাবে রয়ে গেছে। উচ্চ খাদ্যের দাম নিয়ে উদ্বেগ একই রয়ে গেছে এবং প্রায় ৯০ শতাংশ পরিবার বলেছে যে, এই বৃদ্ধি তাদের গভীর উদ্বেগ এবং তাদের বর্ধিত আয়ের স্তর নির্বিশেষে তাদের কল্যাণকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে।
মন্তব্য করুন