• ঢাকা শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন

৪০ দিন পর মরদেহ বুঝে পেল ৪ পরিবার

আরটিভি নিউজ

  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৬
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র দুই রাত আগে রাজধানীর গোপীবাগে ভয়াবহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে
ছবি : সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র দুই রাত আগে রাজধানীর গোপীবাগে ভয়াবহ এক অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে। নির্বাচন ঘিরে ৫ জানুয়ারি রাতের ওই নৃশংস ঘটনায় প্রাণ হারায় চারজন। পা থেকে মাথা পর্যন্ত একেবারে পুড়ে যাওয়ায় মরদেহগুলোর পরিচয় সনাক্তকরণ ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং একটা ব্যাপার। দীর্ঘ ১ মাস ১০ দিন চেষ্টার পর অবশেষে মরদেহগুলো বুঝে পেলেন নিহতদের স্বজনরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশ।

প্রায় দেড় মাস পর মরদেহ বুঝে পেয়ে চাপা কান্না নিয়ে মর্গ ছাড়তে দেখা যায় নিহত চারজনের স্বজনদের। বিচার দাবি করে তারা বলেন, রাজনৈতিক রোষানলে পড়ে এভাবে যেন আর কাউকে প্রাণ হারাতে না হয়।

বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনের সেই ঘটনায় দগ্ধ হয়ে নিহত চারজনের নাম রাজবাড়ির আবু তালহা (২৩), চন্দ্রীমা চৌধুরী সৌমি (২৮) ও এলিনা ইয়াসমিন (৪৪) ও পুরান ঢাকার নাতাশা জেসমিন নেকি (২৫) বলে জানা গেছে।

ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি‌ ফেরদাউস আহ‌াম্মেদ বিশ্বাস জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনায় মরদেহ চারটি একবারেই পোড়া ছিল। এজন্য চেহারা দেখে সনাক্ত করার উপায় ছিল না। পরে আদালতের আদেশক্রমে দাবিকৃত স্বজনদের ও পোড়া মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি ল্যাবে ক্রস ম্যাচিং করা হয়। এর মাধ্যমে সনাক্ত করা হয়। আজ লাশগুলো স্বজনদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হলো।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে এলিনা ইয়াসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন তার ভাই মনিরুজ্জামান মামুন। নাতাশা জেসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই খুরশীদ আহমেদ। আবু তালহার মরদেহ গ্রহণ করেন মামা মনিরুল ইসলাম এবং চন্দ্রিমা চৌধুরীর মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই ডা. দিবাকর চৌধুরী।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এলিনা ইয়াসমিনের স্বামী সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন চপল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার স্ত্রীসহ কয়েকজন মারা গেছেন। আমার বাচ্চা সারাজীবন কি বলবে? রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল সাধারণ জনগণ কেন ভোগ করবে? এগুলো থেকে মুক্তি চাই।

নাতাশার বড় ভাই খুরশীদ আহাম্মেদ বলেন, দীর্ঘ ৪০ দিন অপেক্ষার পর আমার বোনের মরদেহ বুঝে পেলাম। এই ৪০দিন যে আমাদের পরিবারের কীভাবে কেটেছে তা বুঝানো যাবে না।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভারতের উত্তর প্রদেশে হাসপাতালে আগুন, ১০ শিশুর মৃত্যু
জানা গেল রাষ্ট্রায়ত্ত দুই জাহাজে আগুন লাগার কারণ
খুলনায় পাটের বস্তার গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট 
গাজীপুরে কারখানায় আগুন