ডব্লিউটিও সম্মেলন সোমবার, কী চায় বাংলাদেশ?
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে আগামীকাল সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন। চারদিনব্যাপী এ সম্মেলন চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সম্মেলনে ৮ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ ঘটবে, এমন প্রেক্ষাপটে এবারের সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত দুই বছর পর পর ডব্লিউটিও’র সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি ও মৎস্য খাতের ভর্তুকি, মেধাস্বত্ব সুবিধা, ই-কমার্স এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়গুলো গুরুত্ব পাচ্ছে এবারের সম্মেলনে।
আন্তর্জাতিক এই সম্মেলন ঘিরে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের চেষ্টা করে জানিয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘এবারের সম্মেলনে আমরা বাংলাদেশের জন্য কোনও নির্দিষ্ট বিষয় আলাদাভাবে ফোকাস করছি না। তবে এলডিসি থেকে উত্তরণ পরবর্তীতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা ও মেধাস্বত্তসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক সুবিধা যেন আরও কয়েক বছর অব্যাহত থাকে, এটা আমরা চাচ্ছি।’
তিনি জানান, এলডিসি হিসেবে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ কারিগরি সহযোগিতা ও ডিসপুট সেটেলমেন্টের যে সুবিধা পাওয়া যায়, উত্তরণের পরেও কয়েকবছর এই সুবিধা বহাল রাখতে চাই। বাংলাদেশ এ বিষয়ে জোরালো দাবি রাখবে। এলডিসি উত্তরণ পরবর্তীতে মৎস্যখাতে ভর্তুকি প্রদানের সুবিধা বহাল রাখার বিষয়টিও অগ্রাধিকার দিচ্ছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন