• ঢাকা বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

জাহাজের কেবিনেই বন্দি আছেন বাংলাদেশি নাবিকরা

আরটিভি নিউজ

  ১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:৫০
জাহাজের কেবিনেই বন্দি আছেন বাংলাদেশি নাবিকরা
ফাইল ছবি

আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে হাইজ্যাক করা এমভি আবদুল্লাহকে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিয়ে গেছে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে ‘গ্যারাকাড’ নামক এলাকায় নোঙর করেছে দস্যুরা। সেখানে তাদের সঙ্গে নতুন করে যোগ দিয়েছে আরও ১৫-২০ জন সশস্ত্র দস্যু। তবে, জিম্মি ২৩ বাংলাদেশি নাবিক সুস্থ আছেন এখনও। জাহাজে তাদের নিজ নিজ কেবিনেই বন্দি অবস্থায় আছেন তারা।

এর আগে ওই নাবিকরা সবাই জাহাজটির ডেকের কক্ষে জিম্মি অবস্থায় ছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় এমভি আবদুল্লাহ থেকে কল করে জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খান এ তথ্য জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জাহাজের স্বত্তাধিকারী কবির গ্রুপের গণমাধ্যম কর্মকর্তা মিজানুল ইসলাম।

তিনি বলেন, জলদস্যুরা জাহাজটিকে সোমালিয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রিত ‘গ্যারাকাড’ নামক এলাকায় নিয়ে গেছে। নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। জাহাজসহ জিম্মি নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আরও একটি সূত্র জানিয়েছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সোমালিয়ান উপকূল থেকে ৭ মাইল দূরে নোঙর করেছে ‘এমভি আবদুল্লাহ’। অস্ত্রের মুখে নাবিকদেরকে দিয়েই জাহাজ পরিচালনা করাচ্ছে জলদস্যুরা। জাহাজে সোমালিয়া থেকে ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ ১৫-২০ জনের নতুন দস্যু দল এসে পুরানোদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। জাহাজের নাবিকরা সেহরি ও ইফতার করার সুযোগ পাচ্ছে। জাহাজের ডেকে জামায়াতে নামাজ আদায় করতে দেওয়া হচ্ছে তাদেরকে। গ্যারাকাডে পৌঁছানো পর্যন্ত সবাইকে ডেকে জিম্মি করে রাখা হলেও নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নোঙরের পর নাবিকদেরকে যার যার কেবিনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, এমভি আবদুল্লাহর সর্বশেষ অবস্থান জানা গেছে। তবে, এখন পর্যন্ত জলদস্যুরা জাহাজ মালিক পক্ষকে ফোন করে কোনও দাবি-দাওয়া জানায়নি।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে গ্রুপের কর্মকর্তারা। ওইদিনই সন্ধ্যার পর জিম্মি জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিক উল্লাহ খান তার স্ত্রীর কাছে ফোন করে বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। ফাইনাল কথা হচ্ছে, এখানে যদি টাকা না দেয়, আমাদের একজন একজন করে মেরে ফেলতে বলেছে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিয়ো।’

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের গুলিতে ১ জেলে নিহত, ১৯ জনকে অপহরণ
জলদস্যুতা জীবনে কখনও শান্তি ফিরিয়ে আনবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেন ১২ বাহিনীর ৫০ জলদস্যু
সোমালি জলদস্যুদের কবলে এমভি ব্যাসিলিস্ক