• ঢাকা শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১
logo

এক ডিভাইসের তথ্যে জলদস্যুর কবলে এমভি আব্দুল্লাহ

আরটিভি নিউজ

  ১৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩২
ফাইল ছবি

অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (এআইএস) ডিভাইস ব্যবহার করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে জিম্মি করা হয়েছে বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। ‘এআইএস’ এমন একটি ক্ষুদ্র ডিভাইস যার মাধ্যমে ৫০ নটিক্যাল মাইল দূরত্বের মধ্যে থাকা সব নৌযানের নাম, অবস্থান, গন্তব্য, গতি ইত্যাদি তথ্য জানা যায়। এটি একটি জাহাজের সঙ্গে অন্য জাহাজের সংঘর্ষ এড়াতে ব্যবহার করা হয়।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) সংস্থাটির সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘দেড় মাসে আগে একটি ইরানি মাছধরা নৌযান জব্দ করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ওই ইরানি ফিশিং বোটে থাকা এআইএস প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েই এমভি আবদুল্লাহ’র গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে তথ্য পেতে পারে জলদস্যুরা।’

আনাম চৌধুরী বলেন, ‘ওদের টার্গেট সিলেকশন দুর্বল জাহাজের ওপর। যে জাহাজটা দুর্বল সেটাকেই ওরা ধরে। ওই জাহাজটির গতি কম ছিল, পানি থেকে ডেকের দূরত্ব কম, এসব ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই দস্যুরা অগ্রসর হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আরও অনেক জাহাজ ওই রুটে চলছিল। সেগুলোকে সেফগার্ড দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, মূলত সশস্ত্র রক্ষীরা থাকে। যা এই জাহাজে ছিল না। সাধারণত উপকূলের কাছাকাছি ঘটনাগুলো ঘটে। সে হিসেবে এটা রিস্ক জোনের বাইরে ছিল।’

এদিকে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার গারাকাদ উপকূলে দস্যুদের আস্তানায় নোঙর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মেরিটাইম বিশেষজ্ঞরা বলেন, জলদস্যুদের ঠেকাতে এক সময় আন্তর্জাতিক বাহিনীগুলো বেশ সক্রিয় ছিল ভারত মহাসাগরে। কিন্তু, লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের তৎপরতার কারণে এখন সবার মনোযোগ সেদিকে। ফলে, টহল শিথিল হয়ে পড়ায় ভারত মহাসাগরে আবার বেপরোয়া সোমালীয় দস্যুরা।

গেল তিনমাসে ১৪টি জাহাজ ছিনতাই করে দস্যুরা। যা ছয়বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার বলে মনে করেন নৌবাণিজ্য দপ্তরের কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে গ্রুপের কর্মকর্তারা।

ওই দিন সন্ধ্যার পর জিম্মি জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিক উল্লাহ খান তার স্ত্রীর কাছে ফোন করে বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। ফাইনাল কথা হচ্ছে, এখানে যদি টাকা না দেয়, আমাদের একজন একজন করে মেরে ফেলতে বলেছে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিয়ো।’

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের গুলিতে ১ জেলে নিহত, ১৯ জনকে অপহরণ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেন ১২ বাহিনীর ৫০ জলদস্যু
সোমালি জলদস্যুদের কবলে এমভি ব্যাসিলিস্ক
প্রতি রাতে মনে হতো এটাই জীবনের শেষ রাত: প্রধান প্রকৌশলী