ট্রেনে উৎসবমুখর ঈদযাত্রা
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে তৃতীয় দিনের মতো ট্রেনে বাড়ি ফিরছেন মানুষ।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে উৎসবমুখর পরিবেশে যাত্রীদের ট্রেনে চড়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। গত ২৬ মার্চ যারা ৫ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট কেটেছেন তারাই এদিন ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের আগেই যাত্রীদের সঙ্গে টিকিট রয়েছে কি না এবং টিকিটের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে কি না, তা চেক করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে তবেই যাত্রীরা নির্ধারিত গন্তব্যের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারছেন।
এদিন সকাল থেকে বেশিরভাগ ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় অভিযোগ নেই যাত্রীদের। তারা বলছেন, এবারের ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত তাদের কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। অনলাইনে সহজেই তারা টিকিট পেয়েছেন। ফলে স্টেশনে এসে দীর্ঘসময় লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়নি। এ ছাড়া ট্রেনে উঠাতেও তাদের কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।
টাঙ্গাইলগামী যাত্রী আমিনুল ইসলাম বলেন, ঈদযাত্রা ঘিরে ঢাকা রেলস্টেশনে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এজন্য টিকিটের যাত্রী ছাড়া অন্যলোকজন ভিড় করতে পারছে না। তাই সুন্দরভাবে ট্রেনে উঠতে পেরেছি। কোনো ধাক্কা-ধাক্কি, ঠাসাঠাসি নেই। আশা করছি, এবারের ঈদযাত্রা অনেক ভালো হবে।
জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সামিয়া আনসারি বলেন, এখন পর্যন্ত সবঠিকঠাক আছে। কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। অনলাইনে খুব সহজে টিকিট কেটে আজ ট্রেনে চড়েছি। অন্যান্য বার ঈদের সময় ট্রেনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এবার তেমন কোনো চাপ নেই।
এদিকে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে মানুষের ঢাকায় ফেরার জন্য গত বুধবার (৩ মার্চ) থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে রেলওয়ে।
রেলওয়ের সূচি অনুযায়ী, বুধবার (৩ মার্চ) ১৩ এপ্রিলের আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হয়। এরপর ১৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৪ এপ্রিল। ১৫ এপ্রিলের টিকিট ৫ এপ্রিল বিক্রি করা হচ্ছে। আর ১৬ এপ্রিলের টিকিট ৬ এপ্রিল; ১৭ এপ্রিলের টিকিট ৭ এপ্রিল; ১৮ এপ্রিলের টিকিট ৮ এপ্রিল এবং ১৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৯ এপ্রিল।
মন্তব্য করুন