যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আসা গাঁজার চকলেট-কেক জব্দ, গ্রেপ্তার ৩

আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ , ০৭:১২ পিএম


যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আসা গাঁজার চকলেট-কেক জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
সংগৃহীত ছবি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডাকযোগে দেশে আসা কোটি টাকা টাকা মূল্যের গাঁজার চকলেট-কেক জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিএনসি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএনসির মহাপরিচালক (ডিজি) মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী।

গ্রেপ্তাররা হলেন, মো. রাসেল মিয়া (২০), রমজান মিয়া (২১) ও মো. ইমরান ওরফে রাজ (২০)।

বিজ্ঞাপন

মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী জানান, রোববার (২১ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের বৈদেশিক শাখায় খেলনা বাক্সের একটি পার্সেল আসে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পার্সেলটি জব্দ করা হয়। পার্সেলের ভেতরে ছয়টি প্যাকেটে ছিল টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনলযুক্ত কুশ (আমেরিকার তৈরি), যার ওজন এক কেজি ৩০০ গ্রাম। এছাড়াও ছিল আমেরিকায় তৈরি গাঁজার ৯টি চকলেট ও গাঁজার ১০টি কেক। যার বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা। পার্সেলে একটি ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল। তবে ঠিকানাটা ছিল ভুল। তাই মোবাইল নম্বর ধরে অভিযান চালায় ডিএনসি। পরে সাভারের আশুলিয়ায় বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি জানান, পার্সেলে থাকা মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে প্রথমে রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, পার্সেলটি তিনি ডেলিভারি নেবেন। পরে তার কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে রিসিভ করার কথা ছিল রমজান মিয়ার। পরে আশুলিয়ার আমতলা এলাকা থেকে রমজানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

রমজান জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তাকে টাকার বিনিময়ে পার্সেলটি রিসিভ করতে বলেন মো. ইমরান ওরফে রাজ। এরপর আমতলা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় রাজকে। রমজান ও ইমরান দুজন বন্ধু।

মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী জানান, যে প্যাকেটে মাদকগুলো আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসেছিল সেগুলো ছিল বাচ্চাদের খেলনার প্যাকেট। এটা করার কারণ যাতে কেউ বুঝতে না পারে এসব প্যাকেটে মাদক রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে এভাবে বিদেশ থেকে গাঁজার কেক, কুশ ও চকলেট এনে রাজধানীরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছিল।

ডিএনসি ডিজি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ক্যালিফোর্নিয়ায় এসব মাদক বৈধ কিংবা অবৈধ সেটি বিষয় না। বাংলাদেশে এই মাদক অবৈধ, তাই বাংলাদেশে এই মাদক পাঠানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশে এটা অবৈধ জেনেই তারা বাচ্চাদের খেলনার প্যাকেটে মাদক পাঠিয়েছে। এই পার্সেলটি যে কোনো আমেরিকান নাগরিক পাঠিয়েছেন বিষয়টি এমন নয়। ওখানে বসবাসরত অন্য কোনো দেশের নাগরিকও পাঠাতে পারেন।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission