যেদিন থেকে সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছরের মতো চলতি বছরও ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনাসভা শেষে এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের স্বার্থে সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে শুধু আইন প্রয়োগ নয় বরং জেলেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য এ সময় ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে সহায়তা করা হবে। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সামাজিক ক্যাম্পেইন চালানো হবে।
তিনি আর বলেন, সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করার জন্য বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সব সংস্থা এবং মৎস্য আহরণ, বিপণন ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল অংশীজনকে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সমুদ্রে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতার আহ্বান জানাই।
আলোচনা সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, র্যাব সদর দপ্তর ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালের বিভাগীয় কমিশনারগণ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, উপকূলীয় জেলাসমূহের জেলা প্রশাসকগণ, উপপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর (চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল) ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তারাসহ মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এবং মৎস্য আহরণের সাথে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশন, মেরিন হোয়াইট ফিশ ট্রলার ওনার্স এসোসিয়েশন, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন