রিজার্ভ চুরির চার্জশিট প্রসঙ্গে যা জানালেন সিআইডি প্রধান
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন ও চার্জশিট আগামী দু-এক মাসের মধ্যে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।
রোববার (২ জুন) সিআইডি সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, আমরা শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। সম্ভবত আমরা দু-এক মাসের মধ্যে এর তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দিয়ে দিব।
সম্প্রতি শ্রমিক হিসেবে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি মামলা করলে সিআইডি ব্যবস্থা নেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু মানবপাচার আইনে মামলা নয়, বিদেশ পাঠানোর নামে যারা অবৈধভাবে টাকা আয় করে বিভিন্ন জায়গায় হস্তান্তর করেছে তাদেরকে আমরা মানি লন্ডারিংয়ের আওতায়ও আনব।
তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে যারা মানবপাচার করে ভুয়া টিকিট বা ভুয়া ভিসা ইত্যাদি দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, অর্থ নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা মানবপাচারের মানি লন্ডারিং মামলা এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।
সিআইডি প্রধান বলেন, আমরা মাদক নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। এরই মধ্যে যারা মাদক সেবন করে এবং যারা কারবারি তাদের আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চলছে। স্পেশাল ডাইমেনশন আকারে গডফাদারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি এবং মাদক গডফাদারদের যত অর্থ-সম্পদ আছে সেগুলো আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। তাদের সম্পদের কোনোটা ফ্রিজ করেছি, আবার কোনোটা সিজ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সিআইডির মানবপাচার তদন্ত সেল রয়েছে। সেটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। এ সেলের একটি ব্রাঞ্চ বিমানবন্দরে রয়েছে। যারা বিভিন্নভাবে প্রতারণার শিকার হয়ে বিদেশ থেকে রিজেক্টেড হয়, রিপোর্ট করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাদের সমস্ত ডাটা সংগ্রহ করি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এ ছাড়াও কোনো ভুক্তভোগী যদি মামলা দায়ের করেন তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
মন্তব্য করুন