• ঢাকা বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

বেনজীরের ক্রোককৃত সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের নির্দেশ

আরটিভি নিউজ

  ০৬ জুন ২০২৪, ১৫:২৯
বেনজীরের ক্রোককৃত সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের নির্দেশ
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-কন্যাদের ক্রোককৃত সম্পত্তিগুলোর জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত।

তথ্যটি নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, বেনজীর আহমেদের ক্রোক করা সম্পত্তিগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার বা তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে কোন সম্পত্তি দেখভালের জন্য কোন সংস্থা বা ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, পূর্ণাঙ্গ আদেশ না হওয়া পর্যন্ত তা বলা যাচ্ছে না।

তবে তিনি জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জে থাকা ২৮টি পুকুর দেখভালে জেলার মৎস্য কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছেন আদালত। কক্সবাজারের সম্পত্তি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেখানকার জেলা প্রশাসককে।

দুদকের এ আইনজীবী আরও বলেন, যাকে রিসিভার (তত্ত্বাবধায়ক) নিয়োগ দেওয়া হবে, তিনি মূলত ক্রোক করা সম্পত্তিগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। ওই সম্পত্তির আয়-ব্যয়ের হিসাব একটা নির্দিষ্ট সময়ে আদালতকে জানাবেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্তও করা হতে পারে। তখনও রিসিভার আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করবেন।

আদেশে বেনজীর আহমেদের গুলশানের চারটি ফ্ল্যাটের সার্বিক অবস্থা জানাতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানার পর এসব ফ্ল্যাট দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেবেন আদালত।

প্রসঙ্গত, বেনজীরের বিশাল বিত্তবৈভব নিয়ে গত ৩১ মার্চ ও ৩ এপ্রিল প্রতিবেদন প্রকাশ হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এতে সাবেক এই আইজিপি ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে প্রায় ১৪০০ বিঘা জমিতে একটি রিসোর্ট গড়ে তুলেছে বেনজীর পরিবার। এ ছাড়া ঢাকা ও পূর্বাচলে সাবেক এ আইজিপির একাধিক ফ্ল্যাট ও বাড়ি আছে। তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আছে অন্তত ছয়টি কোম্পানি। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বেনজীরের বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকারও বেশি হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। পরবর্তীতে অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে গত ১৮ এপ্রিল অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মীর্জা ও তিন মেয়ের নামে ১৯৬টি দলিলে থাকা ৬২৭ বিঘা জমি (২০ হাজার ৭০৩ শতক), ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ২৫টি কোম্পানিতে বিনিয়োগের সন্ধান পায় দুদক। এরপর সংস্থাটির আবেদনের প্রেক্ষিতে এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।

বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র‍্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র‍্যাব এবং র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান যে সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাঁদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল। তখন তিনি আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এ আর রহমানের যত টাকার সম্পত্তি পাবে সাবেক স্ত্রী সায়রা বানু
নিলামে তোলা হচ্ছে এস আলমের সম্পত্তি
তত্ত্বাবধায়ক ফেরাতে তিন রিভিউ আবেদনের শুনানি ১৭ নভেম্বর
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে রিভিউ শুনানি আজ