আজিজ আহমেদের স্বজনদের পাসপোর্ট অনুসন্ধানে দুদকের চিঠি
সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের স্বজনদের পাসপোর্ট অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১০ জুন) সংশ্লিষ্ট বিভাগে এ চিঠি দেয় দুদক।
এর আগে সাবেক এ সেনাপ্রধানের ভাইদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তদন্তে কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংস্থাটির একজন যুগ্ম সচিবকে প্রধান করে গঠিত কমিটি ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।
জানা যায়, আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ (জোসেফ) নিজেদের নামের পাশাপাশি বাবা-মায়ের নামও পরিবর্তন করেছেন। হারিছ আহমেদ তার নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন মোহাম্মদ হাসান। আর জোসেফ নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন তানভীর আহমেদ তানজীল।
মোহাম্মদ হাসান নামে করা এনআইডিতে হারিছ নিজের ছবি পরিবর্তন করেন ২০১৯ সালে। ছবি বদলানোর জন্য সুপারিশ করেছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে পাসপোর্টও তৈরি করেছেন আলোচিত দুই ভাই। তাদের স্ত্রীরাও একই কাজ করেছেন। সেনাপ্রধান থাকার সময়েই আজিজ আহমেদের ভাইদের ভুয়া তথ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট করানোর ক্ষেত্রে তার প্রভাব খাটানোর বিষয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
উল্লেখ্য, হারিছ ২টি এবং আনিস ১টি খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ তাদের সাজা মওকুফের প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া ১৯৯৬ সালে মোহাম্মদপুরের ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান হত্যা মামলার আসামি ছিলেন আজিজের আরেক ভাই জোসেফ। এ মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। পরে আপিল বিভাগ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ২০১৮ সালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফ রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় মুক্তি পান।
২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত তিন বছর বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ছিলেন আজিজ আহমেদ। এর আগে চার বছর বিজিবির প্রধান ছিলেন। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে গত ২১ মে আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
মন্তব্য করুন