শেষ দিনে স্বস্তির ঈদযাত্রা, ঢাকা ফাঁকা
টানা কয়েক দিনের ভোগান্তির পর ঈদযাত্রার শেষ দিনে অনেকটা স্বস্তি নিয়ে ঢাকা ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ। রোববার (১৬ জুন) ভোর থেকেই বাস, লঞ্চ, ট্রেন, বাইকসহ নানান রকম পরিবহনে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনে ভিড় থাকলেও বিলম্বের কোনো ভোগান্তি না থাকায় স্বস্তি ছিল যাত্রীদের মধ্যে। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও ছিল না কোনো যানজট। শেষদিনের ঈদযাত্রায় বেশ স্বস্তি ছিল বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
কমলাপুর স্টেশন সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে ,গেছে বলাকা কমিউটার, ধূমকেতু এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, পর্যটক এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা, তিস্তা এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস, এগার সিন্ধু প্রভাতী এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, মহুয়া কমিউটার, বুড়িমারী এক্সপ্রেস, কর্ণফুলী কমিউটার, রংপুর এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল, একতা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, অগ্নিবীনা, নকশীকাথা এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন। এগুলো নির্ধারিত সময়েই ঢাকা থেকে গন্তব্যস্থলে রওনা করেছে।
তবে কিছু ট্রেন নির্ধারিত সময়ের পর ছেড়েছে। অবশ্য এতে শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেনি।
টানা কয়েক দিনের ভোগান্তির পর ঈদযাত্রার শেষ দিনে অনেকটা স্বস্তি নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন ঘরমুখী মানুষ। আজ রোববার দুপুরের পর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কোনো যানজট দেখা যায়নি। ফাঁকা মহাসড়কে স্বস্তি নিয়ে ফিরতে পেরে খুশি যাত্রীরা।
মহাসড়কে যানজট না থাকলেও সড়কের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে হাইওয়ে, গাজীপুর জেলা ও মহানগর পুলিশ। যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আজ রাত পর্যন্ত তারা মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, গাজীপুরে মহাসড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও শেষ মুহূর্তে বাড়িতে ফিরতে বাসস্ট্যান্ড ও কাউন্টারগুলোতে দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। গত কয়েক দিনের মতো আজও ভোর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় ও নগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যানবাহন ও ঘরমুখো মানুষের চাপ দেখা যায়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুপুরের পর থেকে দুই মহাসড়কেই গাড়ির চাপ কমতে শুরু করে।
হাইওয়ে পুলিশ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্প কারখানা গত বৃহস্পতিবার থেকে ছুটি হতে শুরু করে। ওই দিন থেকেই বাড়িতে ফিরতে শুরু করেন ঘরমুখো মানুষ। সর্বশেষ গতকাল শনিবার দুপুরের পর একযোগে সব কারখানায় ছুটি হলে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহনের ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়। এতে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা ঘিরে তিন দিকেই কয়েক কিলোমিটার যানজট তৈরি হয়। এ ছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় থেমে থেমে যানজট দেখা দেয়।
রাতভর গাড়ির চাপ থাকলেও আজ সকাল থেকে ধীরে ধীরে চাপ কমতে থাকে। আজ বেলা দেড়টার পর পুরো মহাসড়ক ফাঁকা হয়ে যায়। তবে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ঘরমুখো মানুষকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। বিকেলের পর থেকে চাপ আরও কমতে থাকে।
মন্তব্য করুন