• ঢাকা বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১
logo

রাসেলস ভাইপার প্রসঙ্গে যা জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আরটিভি নিউজ

  ২২ জুন ২০২৪, ১১:৫৯

দেশের বিভিন্ন জেলায় বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলছে। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও এ নিয়ে গুজব রটছে। এই সাপের বিষের কার্যকারিতা নিয়ে নানান কথায় মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। রাসেলস ভাইপার নিয়ে জানার অভাবের কারণে এসব হচ্ছে। এরই মধ্যে এই সাপের কামড়ে কয়েকজন মানুষ মারা গেছে। এ নিয়ে অবশেষে দিকনির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি নিজেদের সক্ষমতার কথাও তুলে ধরেছেন।

শনিবার (২২ জুন) এ বিষয়ে সারা দেশের সিভিল সার্জন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বিভাগীয় পরিচালক, হাসপাতালের পরিচালকসহ দেশের সব স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনা দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সকাল ১০টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনলাইন মিটিংয়ে এ বিষয়ে আরও নির্দেশনা দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিভেনম মজুত রাখা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রবে জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেন, দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিভেনম মজুত রয়েছে।

তিনি বলেন, সাপে কাটার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা খুবই জরুরি। সাপে কাটার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রোগীকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। রোগীকে হাসপাতালে আনতে যাতে দেরি না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এতে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

এসময় সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের নিজ নিজ এলাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার তাগিদ দেন তিনি।

সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. রুবেদ আমিনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, প্রতিবছর সাড়ে সাত হাজার মানুষ এবং আড়াইহাজার গবাদি পশু সাপের দংশনে মারা যাচ্ছে জানিয়ে প্রাণিবিদ আবু সাইদ বলেন, বাংলাদেশের ২০০২ সাল পর্যন্ত রাজশাহী, রংপুর, চট্টগ্রাম এবং খুলনা বিভাগের ১২টি জেলায় রাসেলস ভাইপারের বিস্তৃতি ছিল। পরবর্তীতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৫টি জেলায় এর বিস্তৃতি হয়েছে। সম্প্রতি মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ি এবং চাঁদপুরের রাসেলস ভাইপারের দংশনের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে রাসেলস ভাইপারে কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ এবং আতঙ্ক বেশি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে বুঝে না বুঝেই অনেক ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, রাসেলস ভাইপারের কোন অ্যান্টিভেনম নেই। অথচ এটি ভুল তথ্য।

এই রাসেলস ভাইপার সাপ থেকে বাঁচতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক আরিফের প্রতি সাপ ধরতে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ আলী আশরাফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি সভায় আলোচ্যসূচির ‘বিবিধ’ পর্যায়ে বিষধর রাসেলস ভাইপার সর্প প্রসঙ্গে জনস্বার্থে প্রতিকার সম্পর্কিত আলোচনা হয়। একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক এবং সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক আরিফ ঘোষণা দেন যে, ফরিদপুর সদর উপজেলাধীন কেউ যদি নিজেকে রক্ষাকারী পোশাক সম্বলিত হয়ে এবং সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বনপূর্বক জনস্বার্থে রাসেলস ভাইপার সর্পটি জীবিতাবস্থায় ধরতে পারেন তবে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কৃত করা হবে।

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি সাপ ধরার জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হবে। যতজন যে কয়টি সাপ ধরতে পারবে প্রত্যেক সাপ প্রতি ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। এ সাপ থেকে মানুষকে রক্ষা করার চেষ্টা করি আমরা। একারণেই এ ঘোষণা দেওয়া হলো।’

সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ঝর্ণা হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকসহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দেশে ভেজাল ওষুধের ঝুঁকি মোকাবিলা বিরাট চ্যালেঞ্জ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
থানার ভেতর রাসেলস ভাইপার, আতঙ্কে পুলিশ সদস্যরা
সরকারি হাসপাতালে সবকিছু বিনামূল্যে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কলারোয়ায় ফের পাওয়া গেল রাসেলস ভাইপার, সর্বত্র আতঙ্ক