ব্লগার নাজিম হত্যা: মেজর জিয়াসহ ৪ জনের বিচার শুরু
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৮ বছর পর এ মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
সোমবার (২৪ জুন) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান অভিযোগ গঠন করেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ৫ আসামিকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিচার শুরু হওয়া অপর ৩ আসামি হলেন, রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে রায়হান, মো. শেখ আব্দুল্লাহ ও আকরাম হোসেন।
অব্যাহতি পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান, ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহের ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ।
এর আগে ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি মেজর জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ করেন আদালত। একইসঙ্গে পলাতক ৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি পলাতক ৫ জনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।
২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
মন্তব্য করুন