জাতির পিতার সমাধিতে নবনিযুক্ত সেনাপ্রধানের শ্রদ্ধা
![](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/25/image-279844-1719316743.jpg)
ছবি: আইএসপিআর
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নবনিযুক্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
এ সময় সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম দেয়। পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া-মোনাজাত করেন সেনাপ্রধান।
মোনাজাত শেষে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে সই করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশিদের তথ্য বিক্রি করে দিয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা
অনলাইন মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের বিভিন্ন গ্রুপ ও চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকদের ‘ক্লাসিফায়েড’ তথ্য বিক্রি করে দিয়েছেন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। দেশের নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ফোন কলসহ ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করেছেন তারা। বিষয়টি নজরে এলে ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)।
শুক্রবার (৭ জুন) এনটিএমসি ডিজি মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনটিএমসি’র সূত্রে জানা গেছে, ৪২টি সরকারি সংস্থার প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা এনআইপি’তে প্রবেশাধিকার পান। বিভিন্ন সরকারি সেবা এবং তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাজে প্রবেশাধিকার প্রয়োজন হয় তাদের। এনআইপি’তে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং কল ডিটেইল রেকর্ড (সিডিআর) থাকে। প্রবেশাধিকার প্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজেদের ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে এই পোর্টালে প্রবেশ করেন।
লগ সার্ভার বিশ্লেষণ করে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) পুলিশ সুপার ফারহানা ইয়াসমিন ও র্যাব-৬ এর এএসপি তারেক আমান বান্নার ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অস্বাভাবিক লগ-ইন দেখতে পায় এনটিএমসি। সেখান থেকেই তথ্য চুরির ঘটনাটি জানতে পারে এনটিএমসি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লেখা চিঠিতে এনটিএমসি জানিয়েছে, হাজার হাজার সদস্য আছে ৪৮টি টেলিগ্রাম গ্রুপ ও চ্যানেল এসব ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রিতে জড়িত। এসব গ্রুপের সদস্যদের সংবেদনশীল তথ্যে প্রবেশাধিকার পেতে দুই কর্মকর্তার লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ ও মেসেজিং অ্যাপে বিক্রি হওয়া কল ডেটা রেকর্ড এনটিএমসির সার্ভার থেকে নেওয়া হয়েছে।
সংবেদনশীল তথ্যের অননুমোদিত ব্যবহার এবং অবৈধভাবে হস্তান্তরের যথাযথ তদন্ত শেষে দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে এনটিএমসি।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ২৫ এপ্রিল রাত ৮টা ৫৭ মিনিট থেকে ৯টা ২৭ মিনিটের মধ্যে লগইন রিপোর্টে প্রথম এটি নজরে আসে। ২৫ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে এই দুই পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তার আইডি অন্য যে কোনো ব্যবহারকারীর চেয়ে অনেক বেশি তথ্য সংগ্রহ করে।
গত ২ মে এনটিএমসিকে লেখা চিঠিতে এটিইউ বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে এটিইউ জানতে পেরেছে, সাইবার ক্রাইম উইংয়ের কনস্টেবল মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র রায় ও অপারেশন উইংয়ের খায়রুল ইসলাম টাকার বিনিময়ে কল ডিটেল রেকর্ডসহ স্পর্শকাতর তথ্য বিক্রির সঙ্গে জড়িত। কনস্টেবলরা জিজ্ঞাসাবাদে তা স্বীকার করেছেন।
গত ২৯ এপ্রিল সাইবার ক্রাইম উইং এর দুই কনস্টেবল মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী এবং অপারেশন্স উইং এর খায়রুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, এসপি ফারহানার লগইন ক্রেডেনশিয়ালের মাধ্যমে অননুমোদিত তথ্য স্থানান্তরের প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, র্যাব-৬ এর ওই কর্মকর্তাকে ক্লোজড করা হয়েছে এবং এই বিষয়ে তদন্ত চলছে।
আইনগতভাবে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সমস্ত ইলেকট্রনিক যোগাযোগ পর্যবেক্ষণ করার অধিকারী এনটিএমসি।
প্রযুক্তিবিষয়ক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টেকক্রাঞ্চে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বাকের বলেন, ‘বিডি সাইবার গাং’ নামক টেলিগ্রাম চ্যানেলসহ একাধিক টেলিগ্রাম চ্যানেল, ফেসবুক গ্রুপ এবং হোয়াটস অ্যাপে সংগৃহীত তথ্য বিক্রি করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা এসব গ্রুপের এডমিনদের তথ্য সরবরাহ করতেন। ইন্টারনেটের বিক্রির বিষয়টি সেসব এডমিনরা দেখভাল করতেন। তবে ঠিক কত সংখ্যক নাগরিকের কী পরিমাণ তথ্য এভাবে অনলাইনে বিক্রি হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেননি জেনারেল বাকের।
এ বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে তথ্য বিক্রির প্রমাণ পায় এনটিএমসি। এর প্রেক্ষিতে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি এনআইপি’তে পুলিশের এটিইউ এবং র্যাব-৬ এর প্রবেশাধিকার বন্ধ রেখেছে এনটিএমসি।
এনটিএমসি’র ডিজি মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান বলেন, ‘বিষয়টি সঠিক। আমাদের নজরে এলে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের আগ পর্যন্ত ওই দুই সংস্থার প্রবেশাধিকার (সাময়িকভাবে) বন্ধ রাখা হয়েছে। দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ এবং র্যাবকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানি।’
![বাংলাদেশিদের তথ্য বিক্রি করে দিয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/07/image-277220-1717753935.jpg)
চাঁদ দেখা গেছে, ঈদ ১৭ জুন
বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে।
শুক্রবার (৭ জুন) রাতে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের পীরগাছায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১৭ জুন বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে।
এর আগে, জিলহজ মাসের চাঁদ দেখতে ধর্মমন্ত্রীর সভাপতিত্বে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠকে বসে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
এদিকে, সৌদি আরবে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামী ১৬ জুন দেশটিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
উল্লেখ্য, জিলহজ আত্মত্যাগের মাস। মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহিম (আ.) এ মাসেই নিজের প্রিয় সন্তান ইসমাইলকে (আ.)-কোরবানির মাধ্যমে প্রভুপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। যদিও আল্লাহর বিশেষ রহমতে ইসমাইল (আ.) এর পরিবর্তে একটি পশু কোরবানি হয়েছে।
সেই থেকেই বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলিমরা প্রতি বছর ঈদুল আজহায় গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, উট প্রভৃতি কোরবানি করে থাকেন।
![চাঁদ দেখা গেছে, ঈদ ১৭ জুন](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/07/image-277270-1717773019.jpg)
‘আখেরি খাবার খেয়ে নে'
রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় বুটিক ব্যবসায়ী শাহনাজ স্বামী ও দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন। কলেজপড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে বাসায় ফেরার সময় সজীব হাসান নামের এক যুবককে প্রায়ই কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতেন তিনি। এরপর একদিন কথা হলে দুজনের মধ্যে মোবাইল নম্বর বিনিময় ও কথা বলা শুরু হয়। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর কিছুদিন পর শাহনাজের স্বামী ও মেয়েদের সব বলে দেবে, এমন ভয় দেখিয়ে সজীব তার কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু করে। একপর্যায়ে সজীব তার জন্য কাছাকাছি এলাকায় একটি বাসা ঠিক করে দিতে চাপ দেয়। পরে দুজনে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওয়ারীতে একটি বাসা ভাড়া নেন। পুলিশে চাকরি করেন এবং সাদিয়া আক্তার মৌ নামে ভুয়া পরিচয় দিয়ে বাসা নেন শাহনাজ। ওই বাসায় সপ্তাহে দু-তিন দিন যাতায়াত করতেন তিনি। শাহনাজ বাসার ভাড়া পরিশোধ করলেও বাসায় নিয়মিত থাকতেন সজীব।
সজীব হাসান শাহনাজকে তার স্ত্রী পরিচয়ে ঝিনাইদহের গ্রামের বাড়িতে দু-তিনবার নিয়ে যান। তবে তাদের বয়সের ব্যবধান বেশি হওয়ায় সজিবের পরিবারের সদস্যরা এ সম্পর্ক মেনে নেননি। এদিকে ব্যবসার (বুটিক) কথা বলে শাহনাজের ঘরের বাইরে যাওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে দেখতেন না তার স্বামী। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। এরপর ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে। পরদিন ভোরে শাহনাজ তার স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে স্বামীর বাসা থেকে বেরিয়ে সজীবের সঙ্গে সেই ভাড়া বাসায় ওঠেন। পরে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রাজধানীর ওয়ারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার স্বামী।
২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার তিন দিন পর শাহনাজ তার স্বামীর হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে জানান তিনি খুব বিপদে আছেন। পরে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীর খোঁজে ঘটনাস্থলে গিয়ে শুনতে পান, ওই বাসায় খুন হয়েছে। পুলিশ গিয়ে দেখতে পায় শাহনাজ খাটের ওপরে বসে আছেন। নিচে সজীব হাসান (৩২) মরদেহ পড়ে আছে।
এ হত্যার ঘটনায় ওয়ারী থানায় মামলায় শাহনাজকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এ মামলায় চার বছর ধরে শাহনাজ কারাভোগ করছেন। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭–এ বিচারাধীন।
গ্রেপ্তারের পর শাহনাজ আদালতকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেখানে শাহনাজ বলেন, ‘২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আমি সজীবের বাসায় চলে আসি। ওই দিন সেখানে আমি থাকি। পরদিন সজীব আমার গয়না ও টাকা চায়। আমাকে বলেছিল, গয়না বিক্রি করে সিএনজি কিনবে। আমি গয়না ও টাকা দিতে চাইনি। তাই আমাকে গালিগালাজ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১১ ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে ভাত রান্না করি। সজীব সকালের নাশতা করে। আমার শরীর খারাপ থাকায় আমি শুয়ে থাকি। সজীব আমাকে নাশতা করতে বললে আমি তাকে বলি, ‘আমি ইনসুলিন নিয়েছি। পরে নাশতা করব। তখন সজীব বলে, আখেরি খাবার খেয়ে নে। হঠাৎ সজীব আমার মাথায় বাড়ি মারে। এরপর বাঁ হাতে বাড়ি দিয়ে আঙুলগুলো উল্টে ধরে হাতটা তার পায়ের নিচে চেপে ধরে এবং বুকের ওপর চেপে বসে। একপর্যায়ে সে ছুরি দিয়ে আমার বুকে আঘাত করতে চায়। তখন আমি ছুরিটা কেড়ে নিয়ে সজীবকে ধাক্কা দিতেই সে খাট থেকে নিচে পড়ে যায়। এরপর তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরি দিয়ে আঘাত করি। একপর্যায়ে সে (সজীব) নিস্তেজ হয়ে যায়। সে বলে, আমি তোরে শেষ করতে চাইলাম, তুই আমারে শেষ করে দিলি।’
শাহনাজ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দাবি করেন, ‘সজীব হাসানের আরও কয়েকজন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এসব তথ্য জানার পর থেকে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন।’
সজীব হাসানের খালা নাজনীন আক্তার বলেন, ‘সজীব হাসানের সঙ্গে শাহনাজ পারভীন কয়েকবার তার বাসায় এসেছিলেন। দুজনের বয়সের পার্থক্য বেশি বলে তারা সম্পর্কের বিষয়টি মেনে নেননি। তারা সবাই এখন আসামি শাহনাজের সর্বোচ্চ সাজা চান।’
শাহনাজের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে এসেছে। তিনি আশা করেন, তার মক্কেল আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাবেন।’
![‘আখেরি খাবার খেয়ে নে'](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/10/image-277620-1717973516.jpg)
‘ঢাকায় হতে পারে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প’
দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেছেন, রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ আট মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। আট মাত্রার ভূমিকম্প হলে ২০ শতাংশ বিল্ডিং ধ্বংস হতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে। এতে ঢাকা শহরের লাখ লাখ লোক আটকা পড়তে পারেন।
বুধবার (১২ জুন) বাংলাদেশের সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আট মাত্রার ভূমিকম্প হলেও ভয়ের কারণ নেই। এমন পরিস্থিতি বহু দেশে হয়ে আসছে। যেমন, তুরস্কে ভূমিকম্প হয়। কিন্তু তারা দুর্যোগ সহনীয় অবকাঠামো ও সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। যে কারণে সমস্যা এলে তা সমাধান করার সক্ষমতা তারা তৈরি করেছে।
এত উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা তিনি কীসের ভিত্তিতে দিচ্ছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট গবেষণার ভিত্তিতেই আমি এমন কথা বলেছি। এ নিয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে।
সরকারের প্রস্তুতির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যদি কোনোরকম ভূমিকম্প হয়, সেজন্য শহুরে অঞ্চলে ব্যাপকভাবে স্বেচ্ছাসেবী তৈরি করতে কাজ করছি। ভবনগুলো যদি ধসে যায়, তাহলে সেগুলো পরিষ্কার করা ও মানুষকে উদ্ধারে আমরা ব্যাপকভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ রেখে যেতে চাইলে পুরোজাতিকে দুর্যোগের বিষয়ে সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে আমার ভয়ের কারণ ভূমিকম্প। বাংলাদেশ ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
![‘ঢাকায় হতে পারে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প’](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/12/image-278022-1718180252.jpg)
আনার হত্যা: ৬ নায়িকা-মডেল নজরদারিতে
চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে গত ১২ মে ভারতে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। সেখানে ১৩ মে তাকে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে গুম করা হয়েছে বলে জানায় ডিবি।
এদিকে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নজরদারিতে আছেন দেশের ছয়জন নায়িকা ও মডেল। খুব শিগগরিই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে।
কলকাতার পুলিশের বরাত দিয়ে ডিবি জানতে পেরেছে, কলকাতার পঞ্চলা ও গৌরবতীর ফ্ল্যাটে বাংলাদেশের ছয়জন নায়িকা ও মডেলকে শাহীন নিয়ে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে আনার এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে সময়ও কাটিয়েছিলেন। ওই নায়িকা কলকাতার একাধিক ছবিতে অভিনয় করে সুনামও কুড়িয়েছেন। নায়িকার বয়স ৩০ এর কোটায়, বাংলাদেশি ওই নায়িকা চলনে-বলনে স্মার্ট বলে পরিচিত।
এদিকে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের খুনের অন্যতম হোতা সিয়াম এখন ভারতের সিআইডির হেফাজতে। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি বাংলাদেশের ডিবি পুলিশকে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে।
গত ২২ মে শেরেবাংলা নগর থানায় নিহত সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বাদী হয়ে অপহরণ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত ২৪ মে আসামি শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে গত ৩১ মে দ্বিতীয় দফায় তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে তারা দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তারা কারাগারে আটক রয়েছেন। এ ছাড়া এ মামলায় গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে নতুন নতুন ঘটনা বেরিয়ে আসছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় ঝিনাইদহের কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
এদিন আনার হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়। তার রিমান্ড চলমান।
![আনার হত্যা: ৬ নায়িকা-মডেল নজরদারিতে](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/12/image-278054-1718190803.jpg)
এমপি আনার হত্যার চাঞ্চল্যকর ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য ও ভিডিও আরটিভির হাতে এসেছে। ওই ছবি ও ভিডিওতে কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীভা গার্ডেনসের ফ্লাটটিতে এমপি আনারের সঙ্গে সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল তা প্রকাশিত হয়েছে।
গণমাধ্যমে আসা ভিডিওতে দেখা গেছে, কসাই জিহাদ স্বীকারোক্তি দিয়ে জানাচ্ছেন, বালিশচাপা দিয়ে আনারকে হত্যা করার পর ওই ফ্ল্যাটের বাথরুমে কীভাবে তার মরদেহ টুকরো টুকরো ফ্ল্যাশ করা হয়।
হত্যার পর সংসদ সদস্যকে বেঁধে রাখার ছবি প্রকাশ পেয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, ক্লোরোফর্ম দিয়ে অচেতন করে আনারকে বালিশ চাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। মৃত আনারকে চেয়ারে বসিয়ে তার হাত ও পা শক্ত করে বেঁধে রাখা হয়েছে।
ভিডিওতে কসাই জিহাদ জানায়, কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীভা গার্ডেনসের ট্রিপ্লেক্স সেই ফ্ল্যাটের বসার ঘরে আনারকে স্বাগত জানান শিলাস্তি। পরে জিহাদ এসে শিলাস্তিকে নিচের ফ্লাটে যেতে বলে। ফ্ল্যাটের নিচে নামার পর জিহাদ দেখায় কোথায় বালিশচাপা দিয়ে আনারকে হত্যা করা হয়। এরপর ফ্ল্যাটের বাথরুমে টুকরো টুকরো করে আনারের দেহাংশ করে ফ্লাশ করে দেওয়া হয়।
ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ জানান, এই লাশের কোনো টুকরো যেনো কোনদিন না খুঁজে পাওয়া যায় সেজন্য তারা সিয়াম এবং জিহাদকে ব্যবহার করেছে। তারা এমন পদ্ধতি ব্যবহার করেছে যেন একজনের তথ্য অন্যের কাছে না যায়।
চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে গত ১২ মে ভারতে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। সেখান থেকে গত ১৩ মে ডেকে নিয়ে কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীভা গার্ডেনসের ওই ফ্লাটটিতে তাকে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে গুম করে হত্যাকারীরা।
![এমপি আনার হত্যার চাঞ্চল্যকর ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/12/image-278097-1718205829.jpg)
ঈদে ছাগলকাণ্ডের সেই ইফাত ৭০ লাখ টাকার গরু কেনেন
কোরবানি উপলক্ষে ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হয়েছেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণ। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মো. মতিউর রহমানের ছেলে বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও তা অস্বীকার করেন মতিউর।
কিন্তু অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে মতিউর রহমানই ইফাতের বাবা। এবার কোরবানির ঈদে ইফাত রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক এগ্রো থেকে একটি ছাগল ছাড়াও ঢাকার অন্তত সাতটি খামার ও একটি হাট থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন। গত বছরও কিনেছেন ৬০ লাখ টাকার পশু।
ঢাকার আশপাশে ১০টি খামারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইফাত এ বছর সাতটি খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন। তবে ফেসবুকে বিতর্কের মুখে সাদিক এগ্রো থেকে কেনা ওই ছাগল তিনি আর বাসায় নেননি। অন্য খামার ও হাঁট থেকে কেনা পশু তিনি ডেলিভারি নিয়েছেন।
ইফাত এবার সাদিক এগ্রো ছাড়াও সামারাই এগ্রো, রাহমাহ ক্যাটেল ফার্ম, ব্রাউনিজ র্যা ঞ্জ, হাম্বা পাগলা এগ্রো এন্ড ডেইরি ফার্ম, সারা এগ্রো, বুদ্দু ক্যাটেল ফার্ম এবং গাবতলী হাঁট থেকে গরু কিনেছেন। সব মিলিয়ে তিনি ৭০ লাখ টাকার পশু কিনেছেন।
এক খামার থেকে ১৭ লাখ টাকায় কিনেছেন একটি গরু। আর গাবতলী হাট থেকে কিনেছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার গরু। গাবতলী হাটে গরু কেনার সেই ভিডিও একটি ইউটিউব চ্যানেল প্রকাশ করেছে। সেখানে ইফাত বলছিলেন, সুন্দর-আকর্ষণীয় গরু কেনা তার সখ। সাদিক এগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কিনতে পেরে যে তিনি বেশ খুশি তাও ওই ভিডিওতে বলেছিলেন ইফাত।
রাজধানীর ধানমন্ডির ৮ নম্বর রোডের ইমপেরিয়াল সুলতানা ভবনের পঞ্চম তলায় থাকেন ইফাত। ইমপেরিয়াল সুলতানা ভবনের নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ইফাত মঙ্গলবার বাসা থেকে বের হয়ে আর আসেননি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী গণমাধ্যমকে বলেন, ইফাত আমার মামাতো বোন শাম্মী আক্তার শিবুর সন্তান। আর মতিউর রহমানই ইফাতের বাবা। এটাই সত্যি। ইফাত এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে। কিন্তু এখন তিনি কেন তার সন্তানকে অস্বীকার করছেন, তা আমার জানা নেই।
জানা যায়, মতিউর রহমানই ইফাতের বাবা। মতিউর দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর নাম লাইলা কানিজ। যিনি বর্তমানে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। মতিউর প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে থাকেন বসুন্ধরায়। দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তারের সন্তান মুশফিকুর রহমান ইফাত। থাকেন ধানমন্ডির বাসায়। আর তার মা থাকেন কাকরাইলের একটি ফ্ল্যাটে। ইফাতের আরেক বোন ফারজানা রহমান ইস্পিতা থাকেন কানাডায়।
![ঈদে ছাগলকাণ্ডের সেই ইফাত ৭০ লাখ টাকার গরু কেনেন](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/20/image-279070-1718895281.jpg)