যান্ত্রিক ত্রুটি, রানওয়ে থেকে ফিরে এলো উড়োজাহাজ
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দোহাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজের টেকঅফ বাতিল হয়। পৌনে ১ ঘণ্টা পরে ফ্লাইটটি নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে বিজি ১২৫ ফ্লাইটের বোয়িং ৭৩৭-৮ মডেলের বিমানে এ ঘটনা ঘটে।
ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ছেড়ে যায় ৪টায়। সেখান থেকে দোহার উদ্দেশে ৫টায় বিমানবন্দর ছাড়ার কথা থাকলেও বিমানটি বন্দর ছেড়েছে ৫টা ৪৭ মিনিটে।
বাংলাদেশের বিমান জনসংযোগ কর্মকর্তা বোসরা ইসলাম বলেন, রানওয়েতে থাকাকালীন পাইলট টেকনিক্যাল সংকেত পেলে ফ্লাইটটির টেকঅফ বাতিল করেন। পরে ইঞ্জিনিয়ার টিম সমাধান করলে, ৫টা ৪৭ মিনিটে দোহার উদ্দেশে ছেড়ে যায় বিমানটি।
এ বিষয়ে এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বিকেল ৪টার পরে বাংলাদেশ বিমানের কাতারের দোহাগামী বড় ফ্লাইটটি টেক-অফ করার জন্য নির্ধারিত গতিতে যাত্রা শুরু করেই হঠাৎ স্পিড কমিয়ে দিয়ে থেমে যায়। পরে পাইলট আস্তে আস্তে আবার ‘স্টারটিং পয়েন্ট’ হয়ে এয়ারপোর্টের বিমান হ্যাঙ্গারের সামনে এসে থামায় উড়োজাহাজটি। এ সময় ঘোষণা আসে, বিমানের মাঝখানের দুটি দরজা আনলক দেখাচ্ছে, যা দ্রুত সমাধানের প্রয়োজন। ইঞ্জিনিয়ার সমস্যার সমাধান করলেই আবার বিমান আকাশে উড়বে বলে জানান পাইলট।
পোস্টে মোহাম্মদ হাতেম আরও অভিযোগ করেন, এ সময়ে বিমানের এসি কাজ করছিল না, প্রচণ্ড গরমে যাত্রীদের হাঁসফাঁস অবস্থা। তবে বিমানের পাইলট দক্ষভাবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে যাত্রীদের রক্ষা করেন। এজন্য পাইলটের ভূয়সী প্রশংসা করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি তার পোস্টে বলেন, নানা রকম সমস্যা, অভিযোগ ও অসংগতির কারণে সাধারণত বিমানে ভ্রমণ করা হয় না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশ সফর এবং একবার হজ করতে যাওয়ার সময়ই বিমানে ভ্রমণ হয়েছে। সাধারণ যাত্রী হিসেবে এবারের যাত্রার অভিজ্ঞতা মোটেও ভালো না।
এর আগে, সোমবার (২৪ জুন) চট্টগ্রাম থেকে আবুধাবিগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ১২৭ ফ্লাইটের সামনের কাঁচে (উইন্ডশিল্ড) ফাটল দেখা দেয়ায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।
মন্তব্য করুন