• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১
logo

বিষধর সাপের তালিকায় ১০ নম্বরেও নেই রাসেলস ভাইপার

আরটিভি নিউজ

  ২৮ জুন ২০২৪, ০০:৫৩
ফাইল ছবি

সারাবিশ্বে যত রকমের বিষধর সাপ পাওয়া যায় সেই তালিকার ১০ নম্বরেও নেই বহুল আলোচিত রাসেলস ভাইপার। সেই সঙ্গে দেশে পর্যাপ্ত এন্টিভেনম (সাপের কামড়ের ব্যবহ্যত প্রতিষেধক) মজুদ রয়েছে। সরকারিভাবে সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধটি পৌঁছানো হয়েছে। ফলে সাপটি নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব কনভেনশন হলে ‘রাসেল’স ভাইপার: ফিয়ার ভার্সেস ফ্যাক্ট’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেশের ২৭ জেলায় বহুল আলোচিত রাসেল’স ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ পাওয়া গেছে। এর মানে এই নয় যে, এসব এলাকার মানুষ ঘর থেকে বের হবে না। সাপটি নিয়ে অনেক বেশি গুজব ছড়িয়েছে। তবে এই সাপ কখনও তেড়ে এসে মানুষকে কামড়ায় না। বিপদের ঝুঁকি দেখলেই শুধু কামড় দেয়।

তারা জানান, ২০১৩ সালে প্রথমবার সাপটির কামড়ে রোগী পাওয়া যায়। এ সাপের দংশনে ৭০ শতাংশ রোগী সুস্থ হচ্ছে। বাকি ৩০ শতাংশের জন্য দায়ী দেরিতে হাসপাতালে আসা। বর্তমানে দেশে এর এন্টিভেনম রয়েছে। প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এন্টিভেনম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দেশে এন্টিভেনম তৈরি কাজ চলমান আছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘রাসেল’স ভাইপার নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। জনগণের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। আমি সংসদ সদস্যদের নিজ এলাকার রোগীকে চিকিৎসকের কাছে দ্রুত মানুষের কাছে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করার আহ্বান করেছি। আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের এন্টিভেনমের সংকট নেই।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, ‘দেশে ৬৬৫ জনকে প্রতিদিন কুকুরে কামড়ায়। পানিতে ডুবে অনেক মানুষ মারা যায়। রাসেল’স ভাইপারে কামড়ের সংখ্যা আরও অনেক কম। এ বিষয়ে আতঙ্ক তৈরি না করে সচেতন হবে। ভয় তৈরি করা যাবে না।’

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞাঁ বলেন, ‌‘সাপে কাটা রোগী যদি হাসপাতালে এসে মৃত্যুবরণ করে এর দায় আমাদের। আমাদের প্রত্যেক হাসপাতালে এন্টিভেনম পৌঁছানো হয়েছে। চিকিৎসকরা এ বিষয়ে প্রশিক্ষিত। তবে ওঝাসহ নানা কারণে রোগী হাসপাতালে আসতে দেরি করায় মৃত্যু বাড়ে। দেরিতে হাসপাতালে আসায় রোগীরা অন্তত ক্রিটিক্যাল অবস্থায় চলে যায়। ওই অবস্থায় তাদের ইনটেনসিভ কেয়ার সেন্টারের প্রয়োজন। হাসপাতালে এই ক্রিটিক্যাল রোগীদের মৃত্যু অনেকটা রোধ করা সম্ভব যদি ইনটেনসিভ সেবা নিশ্চিত করা যায়।’

সেমিনারে বৈজ্ঞানিক সেশনে আলোচনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়য়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু রেজা, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবু শাহীন মো. মাহবুবুর রহমান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ।

মন্তব্য করুন

  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গ্যাস নিয়ে সুখবর দিলেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ
রাজধানীতে তীব্র গ্যাস সংকট, চরম ভোগান্তি
টানা ৪ মাস বন্ধ থাকবে ঢাকার যে সড়ক
থানার ভেতর রাসেলস ভাইপার, আতঙ্কে পুলিশ সদস্যরা