নীতিমালার খসড়া অনুমোদন
১১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য, তিন বিষয়ে গুরুত্ব
দেশে তৈরি পণ্য ও সেবা রপ্তানির মাধ্যমে ১১০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য নিয়ে ২০২৪ থেকে ২০২৭ মেয়াদের খসড়া রপ্তানি নীতিমালার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে রপ্তানি নীতিমালা করা হয়েছে, যাতে নতুনভাবে তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব বাড়াতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ১. ইলেকট্রনিক ডিভাইস তৈরি ও রপ্তানি বাড়াতে প্রয়োজনীয় সহায়তা বাড়াতে তাগিদ দিয়েছেন, ২. উন্নয়নশীল দেশ হলে বিশেষ কিছু সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ তাই বেশ কিছু বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ও ৩. শাক-সবজি ও ফল আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির ব্যবস্থা গ্রহণে গুরুত্ব দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশে রপ্তানি বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। রপ্তানি নীতিমালা অনুযায়ী পণ্যের গুণগত মানে যাতে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া না হয়, তাও নিশ্চিত করতে বলেছেন।
সচিব জানান, বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিন বছর পর যাতে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১১০ বিলিয়ন ডলার ধরা হয়। এখন প্রতি বছর রপ্তানি হয় ৭০ বিলিয়ন ডলারের মতো।
উন্নয়নশীল দেশের কাতারে গেলে যেসব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে সেদিকে বিশেষ নজর দিয়ে রপ্তানি নীতিমালা করারও নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
এ ছাড়া পদ্মাসেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৪ জন বোর্ড ও ডাইরেক্টরের সমন্বয়ে গঠিত হবে। কোম্পানির প্রাথমিক মূলধন হবে এক হাজার কোটি টাকা। পদ্মা সেতুর ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি দেশীয় কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে যত্ন ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পাস হওয়া নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেট বাস্তবায়নের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে সবাই জড়িত না। কিছু সরকারি কর্মকর্তা এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সরকারের নজরে আসলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সরকারের পুরো মেকানিজম মিলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতিবাজদের কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না।
মন্তব্য করুন