• ঢাকা বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১
logo

কয়েকজনের দুর্নীতিতে বাকি সবাই বিব্রত হয়: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

আরটিভি নিউজ

  ০১ জুলাই ২০২৪, ১৯:৫১
ছবি: সংগৃহীত

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, প্রশাসনের হাতেগোনা কয়েকজন কর্মকর্তা দুর্নীতি করে, আর বাকি সবাই বিব্রত হয়।

সোমবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের ব্রিফিংয়ে সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মাহবুব হোসেন বলেন, দুর্নীতি তো সবাই করে না। একটি অফিসের সবাই কি দুর্নীতিবাজ? কয়েকজন করে এবং ওই কয়েকজনের জন্য বাকি সবাই বিব্রত হয় অবস্থা তাই তো দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করা হয়েছে। দুর্নীতিতে জড়িতদের ব্যাপারে কোনো রকম সহানুভূতি দেখানো হবে না, দেখানো হচ্ছেও না। সেটি আমরা সিরিয়াসলিই ফলো করছি। তারপরও ফাঁকে ফাঁকে এ অপরাধ হচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সব কাঠামোর মধ্যে কিছু খুবই দুষ্টবুদ্ধির মানসিকতার মানুষ থাকে, যারা এই কাজগুলো করেন। যখনই এসব বিষয় নজরে আসে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রশ্রয় দেওয়া হয় না।

‘মন্ত্রণালয়গুলো দুর্নীতির দেরাজ খুলে বসেছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না’, দুদক চেয়ারম্যানের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে মো. মাহবুব হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয়ের সচিবরা এ বিষয়ে ভালো জবাব দিতে পারবেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তাদেরকে নানাভাবে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। আমার কাছে এই তথ্য নেই যে কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ রকম আমার নজরে এলে আমি আবার তদন্তের ব্যবস্থা করব।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির বাকি অংশগুলোর জন্য আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠান ও এজেন্সি আছে। তাদের কাছে প্রমাণযোগ্য তথ্য এলে তারা সিরিয়াসলি সেটা নিয়ে নামে। কাজের চাপ, লোকবলের অভাব ও রিসোর্সের সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হয় যে কোন কাজটা আমি আগে করব। কারণ, দশটা অভিযোগ থাকলে আমাদের আগে নির্ধারণ করতে হয়, কোন কাজটা আমি আগে করব। দশটি কাজই তো আমরা একসঙ্গে করতে পারছি না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কারো বিরুদ্ধে তদন্তে যখন দুর্নীতি হিসেবে সাব্যস্ত হয়, আমাকে তখন একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া মানতে হচ্ছে। আমি তো তাকে জেলে পাঠাই না। তাকে বরখাস্ত কিংবা চাকরিতে রেখে তার বিরুদ্ধে ডিপি চালু করি। ডিপি চালু আছে। প্রশ্ন ওঠে, সে এখনো চাকরি করছে? এটা জবাব আমি কীভাবে দেব? আমার বিধানই এমন। তাকে চাকরিতে রেখেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এখন দুর্নীতির পরও সাসপেন্ড কেন করা হয়নি, সেটা হয়ত সেই কর্তৃপক্ষ জবাব দিতে পারবে। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, কিন্তু বহাল তবিয়তে চাকরি করবে এটা প্রশাসনের বিরল ঘটনা।

১৯৬৯ সালে সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা পাঁচ বছর পরপর সম্পদের হিসাব দেওয়ায় বিধান এখনো কার্যকর আছে কি না? এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কোনো অ্যাকশন তারা নিয়েছে কি না? কোনো সার্কুলার দিয়েছে কি না, সেটি আমাকে জানতে হবে।

মন্তব্য করুন

  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান জাতীয় কৌতুক: রিজভী
মডেল মসজিদ নির্মাণে প্রকৌশলীর কুকীর্তি প্রকাশ্যে আনলেন স্ত্রী
দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা
ব্যক্তির দুর্নীতির দায় পুলিশ বাহিনী নেবে না: আইজিপি