এমপি আনার হত্যা: এবার ফয়সালের দায় স্বীকার
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার ফয়সাল আলী। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলায় এখন পর্যন্ত ছয়জন আদালতে জবানবন্দি দিলেন।
বুধবার (৩ জুলাই) আসামি ফয়সাল আলীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তিনি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন।পরে তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৬ জুন এ মামলায় দুই পলাতক আসামি ফয়সাল আলী ও মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল। ওইদিন দুপুর থেকে হেলিকপ্টারে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি।
২৭ জুন আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ। সেদিন শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহ তাদের ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় এর আগে সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া, সিলিস্তি রহমান, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু ও মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। তাদের মধ্যে মিন্টু ছাড়া চারজনই দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে আসামিরা কারাগারে রয়েছেন।
গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। মামলার অভিযোগে ডরিন উল্লেখ করেছেন, আমরা সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করি। গত ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকেলে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার ফোন বন্ধ পাই।
এরপর গত ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি খুদে বার্তা আসে। বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।
বিভিন্ন জায়গায় বাবাকে খুঁজে না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছে।
এদিকে, আনারকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন সিয়াম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে আদালত। সিয়াম বর্তমানে নেপালে অবস্থান করছে।
মন্তব্য করুন