আইএসপিআরের নতুন পরিচালক কর্নেল সামি
![আইএসপিআরের নতুন পরিচালক কর্নেল সামি](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/07/04/image-281179-1720108807.jpg)
ফাইল ছবি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) নতুন পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কর্নেল সামি বর্তমান আইএসপিআর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু হায়দার মোহাম্মদ রাসেলুজ্জামানের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
এর আগে, ২৩ জুন বর্তমান আইএসপিআর পরিচালক আবু হায়দার মোহাম্মদ রাসেলুজ্জামানকে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তিনি ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সংস্থাটির পরিচালক হন।
মন্তব্য করুন
‘আখেরি খাবার খেয়ে নে'
রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় বুটিক ব্যবসায়ী শাহনাজ স্বামী ও দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন। কলেজপড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে বাসায় ফেরার সময় সজীব হাসান নামের এক যুবককে প্রায়ই কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতেন তিনি। এরপর একদিন কথা হলে দুজনের মধ্যে মোবাইল নম্বর বিনিময় ও কথা বলা শুরু হয়। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর কিছুদিন পর শাহনাজের স্বামী ও মেয়েদের সব বলে দেবে, এমন ভয় দেখিয়ে সজীব তার কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু করে। একপর্যায়ে সজীব তার জন্য কাছাকাছি এলাকায় একটি বাসা ঠিক করে দিতে চাপ দেয়। পরে দুজনে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওয়ারীতে একটি বাসা ভাড়া নেন। পুলিশে চাকরি করেন এবং সাদিয়া আক্তার মৌ নামে ভুয়া পরিচয় দিয়ে বাসা নেন শাহনাজ। ওই বাসায় সপ্তাহে দু-তিন দিন যাতায়াত করতেন তিনি। শাহনাজ বাসার ভাড়া পরিশোধ করলেও বাসায় নিয়মিত থাকতেন সজীব।
সজীব হাসান শাহনাজকে তার স্ত্রী পরিচয়ে ঝিনাইদহের গ্রামের বাড়িতে দু-তিনবার নিয়ে যান। তবে তাদের বয়সের ব্যবধান বেশি হওয়ায় সজিবের পরিবারের সদস্যরা এ সম্পর্ক মেনে নেননি। এদিকে ব্যবসার (বুটিক) কথা বলে শাহনাজের ঘরের বাইরে যাওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে দেখতেন না তার স্বামী। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। এরপর ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে। পরদিন ভোরে শাহনাজ তার স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে স্বামীর বাসা থেকে বেরিয়ে সজীবের সঙ্গে সেই ভাড়া বাসায় ওঠেন। পরে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রাজধানীর ওয়ারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার স্বামী।
২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার তিন দিন পর শাহনাজ তার স্বামীর হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে জানান তিনি খুব বিপদে আছেন। পরে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীর খোঁজে ঘটনাস্থলে গিয়ে শুনতে পান, ওই বাসায় খুন হয়েছে। পুলিশ গিয়ে দেখতে পায় শাহনাজ খাটের ওপরে বসে আছেন। নিচে সজীব হাসান (৩২) মরদেহ পড়ে আছে।
এ হত্যার ঘটনায় ওয়ারী থানায় মামলায় শাহনাজকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এ মামলায় চার বছর ধরে শাহনাজ কারাভোগ করছেন। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭–এ বিচারাধীন।
গ্রেপ্তারের পর শাহনাজ আদালতকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেখানে শাহনাজ বলেন, ‘২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আমি সজীবের বাসায় চলে আসি। ওই দিন সেখানে আমি থাকি। পরদিন সজীব আমার গয়না ও টাকা চায়। আমাকে বলেছিল, গয়না বিক্রি করে সিএনজি কিনবে। আমি গয়না ও টাকা দিতে চাইনি। তাই আমাকে গালিগালাজ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১১ ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে ভাত রান্না করি। সজীব সকালের নাশতা করে। আমার শরীর খারাপ থাকায় আমি শুয়ে থাকি। সজীব আমাকে নাশতা করতে বললে আমি তাকে বলি, ‘আমি ইনসুলিন নিয়েছি। পরে নাশতা করব। তখন সজীব বলে, আখেরি খাবার খেয়ে নে। হঠাৎ সজীব আমার মাথায় বাড়ি মারে। এরপর বাঁ হাতে বাড়ি দিয়ে আঙুলগুলো উল্টে ধরে হাতটা তার পায়ের নিচে চেপে ধরে এবং বুকের ওপর চেপে বসে। একপর্যায়ে সে ছুরি দিয়ে আমার বুকে আঘাত করতে চায়। তখন আমি ছুরিটা কেড়ে নিয়ে সজীবকে ধাক্কা দিতেই সে খাট থেকে নিচে পড়ে যায়। এরপর তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরি দিয়ে আঘাত করি। একপর্যায়ে সে (সজীব) নিস্তেজ হয়ে যায়। সে বলে, আমি তোরে শেষ করতে চাইলাম, তুই আমারে শেষ করে দিলি।’
শাহনাজ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দাবি করেন, ‘সজীব হাসানের আরও কয়েকজন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এসব তথ্য জানার পর থেকে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন।’
সজীব হাসানের খালা নাজনীন আক্তার বলেন, ‘সজীব হাসানের সঙ্গে শাহনাজ পারভীন কয়েকবার তার বাসায় এসেছিলেন। দুজনের বয়সের পার্থক্য বেশি বলে তারা সম্পর্কের বিষয়টি মেনে নেননি। তারা সবাই এখন আসামি শাহনাজের সর্বোচ্চ সাজা চান।’
শাহনাজের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে এসেছে। তিনি আশা করেন, তার মক্কেল আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাবেন।’
![‘আখেরি খাবার খেয়ে নে'](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/10/image-277620-1717973516.jpg)
‘ঢাকায় হতে পারে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প’
দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেছেন, রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ আট মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। আট মাত্রার ভূমিকম্প হলে ২০ শতাংশ বিল্ডিং ধ্বংস হতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে। এতে ঢাকা শহরের লাখ লাখ লোক আটকা পড়তে পারেন।
বুধবার (১২ জুন) বাংলাদেশের সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আট মাত্রার ভূমিকম্প হলেও ভয়ের কারণ নেই। এমন পরিস্থিতি বহু দেশে হয়ে আসছে। যেমন, তুরস্কে ভূমিকম্প হয়। কিন্তু তারা দুর্যোগ সহনীয় অবকাঠামো ও সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। যে কারণে সমস্যা এলে তা সমাধান করার সক্ষমতা তারা তৈরি করেছে।
এত উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা তিনি কীসের ভিত্তিতে দিচ্ছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট গবেষণার ভিত্তিতেই আমি এমন কথা বলেছি। এ নিয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে।
সরকারের প্রস্তুতির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যদি কোনোরকম ভূমিকম্প হয়, সেজন্য শহুরে অঞ্চলে ব্যাপকভাবে স্বেচ্ছাসেবী তৈরি করতে কাজ করছি। ভবনগুলো যদি ধসে যায়, তাহলে সেগুলো পরিষ্কার করা ও মানুষকে উদ্ধারে আমরা ব্যাপকভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ রেখে যেতে চাইলে পুরোজাতিকে দুর্যোগের বিষয়ে সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে আমার ভয়ের কারণ ভূমিকম্প। বাংলাদেশ ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
![‘ঢাকায় হতে পারে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প’](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/12/image-278022-1718180252.jpg)
আনার হত্যা: ৬ নায়িকা-মডেল নজরদারিতে
চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে গত ১২ মে ভারতে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। সেখানে ১৩ মে তাকে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে গুম করা হয়েছে বলে জানায় ডিবি।
এদিকে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নজরদারিতে আছেন দেশের ছয়জন নায়িকা ও মডেল। খুব শিগগরিই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে।
কলকাতার পুলিশের বরাত দিয়ে ডিবি জানতে পেরেছে, কলকাতার পঞ্চলা ও গৌরবতীর ফ্ল্যাটে বাংলাদেশের ছয়জন নায়িকা ও মডেলকে শাহীন নিয়ে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে আনার এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে সময়ও কাটিয়েছিলেন। ওই নায়িকা কলকাতার একাধিক ছবিতে অভিনয় করে সুনামও কুড়িয়েছেন। নায়িকার বয়স ৩০ এর কোটায়, বাংলাদেশি ওই নায়িকা চলনে-বলনে স্মার্ট বলে পরিচিত।
এদিকে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের খুনের অন্যতম হোতা সিয়াম এখন ভারতের সিআইডির হেফাজতে। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি বাংলাদেশের ডিবি পুলিশকে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে।
গত ২২ মে শেরেবাংলা নগর থানায় নিহত সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বাদী হয়ে অপহরণ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত ২৪ মে আসামি শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে গত ৩১ মে দ্বিতীয় দফায় তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে তারা দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তারা কারাগারে আটক রয়েছেন। এ ছাড়া এ মামলায় গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে নতুন নতুন ঘটনা বেরিয়ে আসছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় ঝিনাইদহের কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
এদিন আনার হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়। তার রিমান্ড চলমান।
![আনার হত্যা: ৬ নায়িকা-মডেল নজরদারিতে](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/12/image-278054-1718190803.jpg)
এমপি আনার হত্যার চাঞ্চল্যকর ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য ও ভিডিও আরটিভির হাতে এসেছে। ওই ছবি ও ভিডিওতে কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীভা গার্ডেনসের ফ্লাটটিতে এমপি আনারের সঙ্গে সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল তা প্রকাশিত হয়েছে।
গণমাধ্যমে আসা ভিডিওতে দেখা গেছে, কসাই জিহাদ স্বীকারোক্তি দিয়ে জানাচ্ছেন, বালিশচাপা দিয়ে আনারকে হত্যা করার পর ওই ফ্ল্যাটের বাথরুমে কীভাবে তার মরদেহ টুকরো টুকরো ফ্ল্যাশ করা হয়।
হত্যার পর সংসদ সদস্যকে বেঁধে রাখার ছবি প্রকাশ পেয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, ক্লোরোফর্ম দিয়ে অচেতন করে আনারকে বালিশ চাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। মৃত আনারকে চেয়ারে বসিয়ে তার হাত ও পা শক্ত করে বেঁধে রাখা হয়েছে।
ভিডিওতে কসাই জিহাদ জানায়, কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীভা গার্ডেনসের ট্রিপ্লেক্স সেই ফ্ল্যাটের বসার ঘরে আনারকে স্বাগত জানান শিলাস্তি। পরে জিহাদ এসে শিলাস্তিকে নিচের ফ্লাটে যেতে বলে। ফ্ল্যাটের নিচে নামার পর জিহাদ দেখায় কোথায় বালিশচাপা দিয়ে আনারকে হত্যা করা হয়। এরপর ফ্ল্যাটের বাথরুমে টুকরো টুকরো করে আনারের দেহাংশ করে ফ্লাশ করে দেওয়া হয়।
ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ জানান, এই লাশের কোনো টুকরো যেনো কোনদিন না খুঁজে পাওয়া যায় সেজন্য তারা সিয়াম এবং জিহাদকে ব্যবহার করেছে। তারা এমন পদ্ধতি ব্যবহার করেছে যেন একজনের তথ্য অন্যের কাছে না যায়।
চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে গত ১২ মে ভারতে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। সেখান থেকে গত ১৩ মে ডেকে নিয়ে কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীভা গার্ডেনসের ওই ফ্লাটটিতে তাকে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে গুম করে হত্যাকারীরা।
![এমপি আনার হত্যার চাঞ্চল্যকর ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/12/image-278097-1718205829.jpg)
ইফাত কার ছেলে, জানালেন এমপি হাজারী
ঈদুল আজহা এলেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে বিশালাকারের বিভিন্ন গরু। কিন্তু এবারের ঈদে যেন সব আলো কেড়ে নিলো দেশের আলোচিত এগ্রো ফার্ম সাদিক এগ্রোর একটি ছাগল। ১৫ লাখ টাকার ছাগলটির আড়ালে পড়ে গেছে একই ফার্ম থেকে বিক্রি হওয়া কোটি টাকার বিশালদেহী গরুও। আর এর বড় একটা কৃতিত্ব মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক তরুণের। ছাগলটি ১২ লাখ টাকায় কিনেছেন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা তার এক পোস্ট থেকেই পুরো ঘটনার সূত্রপাত। পরে তার বাবার পরিচয় হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তার নাম প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড়, যা থামছে না ঈদের পরও।
এদিকে নতুন বিতর্কের জন্ম, মতিউর রহমান নামে ওই এনবিআর কর্মকর্তা ইফাতকে নিজের ছেলে হিসেবে অস্বীকার করেন। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছাড়িয়ে প্রতিটা আড্ডার অন্যতম টপিক এখন। জনমনে প্রশ্ন, তাহলে আসলে কে এই ইফাত? যদি সে ওই এনবিআর কর্মকর্তার নিজের ছেলেই না হয়ে থাকে, তবে ইফাত কেন তাকে বাবা বলে পরিচয় দিলো? কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতির দায়িত্বে থাকা মতিউর রহমান যদিও বলছেন, ইফাতকে তিনি চেনেন না, তার বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত; তবুও এ ব্যাখ্যা সন্তোষজনক নয় সাধারণ মানুষের কাছে। কারণ, ইফাতের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে মতিউর রহমানের সঙ্গে তার যুগলবন্দি বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। ছবিগুলোর ক্যাপশনে ইফাত আবার ‘বাবা’ সম্বোধনও করেছেন।
অনেকেই বলছেন, দুর্নীতির তদন্ত থেকে বাঁচতেই এখন নিজের ছেলেকে অস্বীকার করছেন মতিউর রহমান।
কিন্তু গণমাধ্যমকে মতিউর রহমান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহায়তা চেয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। এনবিআরের এ কর্মকর্তা বলেছেন, ইফাত নামে আমার কোনো ছেলে নেই। এমনকি আমার আত্মীয় বা পরিচিতও নয় সে। আমার একমাত্র ছেলের নাম তৌফিকুর রহমান। একটি গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। সামাজিকমাধ্যমে আমার ছবি ও নাম ব্যবহার করায় আমি বিব্রত। আমি অবশ্যই আইনি পদক্ষেপে যাব।
তবে, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর দাবি, ইফাত আসলে মতিউর রহমানেরই ছেলে। তিনি দুটি বিয়ে করেছেন এবং ইফাত তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) নিজাম উদ্দিন হাজারী গণমাধ্যমকে বলেন, ইফাত এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে। ধারণা করছি, রাগ করে মতিউর রহমান ইফাতের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন।
তার কাছ থেকে জানা যায়, এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান দুটি বিয়ে করেছেন। তার প্রথম স্ত্রীর নাম লাইলা কানিজ। তিনি বর্তমানে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী তার মামাতো বোন। তার পুরো নাম স্মরণ করতে না পারলেও ডাক নাম ‘শিবু’ বলে জানান তিনি।
মতিউরের দুই পরিবারের মধ্যে সমস্যা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে নিজাম হাজারী বলেন, সমস্যা হলেই না মীমাংসা হবে। সমস্যাই তো ছিল না। দুই পরিবারই একে অপরকে মেনে নিয়েছে। তাই কোনো সমস্যা ছিল না।
এদিকে মতিউর রহমানের বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) প্রশ্ন করা হয় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকেও। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে কোনো উত্তর দিতেই রাজি নন বলে প্রশ্নটি এড়িয়ে যান।
![ইফাত কার ছেলে, জানালেন এমপি হাজারী](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/20/image-279049-1718883578.jpg)
ঈদে ছাগলকাণ্ডের সেই ইফাত ৭০ লাখ টাকার গরু কেনেন
কোরবানি উপলক্ষে ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হয়েছেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণ। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মো. মতিউর রহমানের ছেলে বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও তা অস্বীকার করেন মতিউর।
কিন্তু অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে মতিউর রহমানই ইফাতের বাবা। এবার কোরবানির ঈদে ইফাত রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক এগ্রো থেকে একটি ছাগল ছাড়াও ঢাকার অন্তত সাতটি খামার ও একটি হাট থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন। গত বছরও কিনেছেন ৬০ লাখ টাকার পশু।
ঢাকার আশপাশে ১০টি খামারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইফাত এ বছর সাতটি খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন। তবে ফেসবুকে বিতর্কের মুখে সাদিক এগ্রো থেকে কেনা ওই ছাগল তিনি আর বাসায় নেননি। অন্য খামার ও হাঁট থেকে কেনা পশু তিনি ডেলিভারি নিয়েছেন।
ইফাত এবার সাদিক এগ্রো ছাড়াও সামারাই এগ্রো, রাহমাহ ক্যাটেল ফার্ম, ব্রাউনিজ র্যা ঞ্জ, হাম্বা পাগলা এগ্রো এন্ড ডেইরি ফার্ম, সারা এগ্রো, বুদ্দু ক্যাটেল ফার্ম এবং গাবতলী হাঁট থেকে গরু কিনেছেন। সব মিলিয়ে তিনি ৭০ লাখ টাকার পশু কিনেছেন।
এক খামার থেকে ১৭ লাখ টাকায় কিনেছেন একটি গরু। আর গাবতলী হাট থেকে কিনেছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার গরু। গাবতলী হাটে গরু কেনার সেই ভিডিও একটি ইউটিউব চ্যানেল প্রকাশ করেছে। সেখানে ইফাত বলছিলেন, সুন্দর-আকর্ষণীয় গরু কেনা তার সখ। সাদিক এগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কিনতে পেরে যে তিনি বেশ খুশি তাও ওই ভিডিওতে বলেছিলেন ইফাত।
রাজধানীর ধানমন্ডির ৮ নম্বর রোডের ইমপেরিয়াল সুলতানা ভবনের পঞ্চম তলায় থাকেন ইফাত। ইমপেরিয়াল সুলতানা ভবনের নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ইফাত মঙ্গলবার বাসা থেকে বের হয়ে আর আসেননি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী গণমাধ্যমকে বলেন, ইফাত আমার মামাতো বোন শাম্মী আক্তার শিবুর সন্তান। আর মতিউর রহমানই ইফাতের বাবা। এটাই সত্যি। ইফাত এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে। কিন্তু এখন তিনি কেন তার সন্তানকে অস্বীকার করছেন, তা আমার জানা নেই।
জানা যায়, মতিউর রহমানই ইফাতের বাবা। মতিউর দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর নাম লাইলা কানিজ। যিনি বর্তমানে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। মতিউর প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে থাকেন বসুন্ধরায়। দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তারের সন্তান মুশফিকুর রহমান ইফাত। থাকেন ধানমন্ডির বাসায়। আর তার মা থাকেন কাকরাইলের একটি ফ্ল্যাটে। ইফাতের আরেক বোন ফারজানা রহমান ইস্পিতা থাকেন কানাডায়।
![ঈদে ছাগলকাণ্ডের সেই ইফাত ৭০ লাখ টাকার গরু কেনেন](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/20/image-279070-1718895281.jpg)
ছাগল নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড, ইফাতের বাবা কে?
কোরবানি উপলক্ষে ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হয়েছেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণ। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মো. মতিউর রহমানের ছেলে বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও তা অস্বীকার করেন মতিউর।
কিন্তু অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে মতিউর রহমানই ইফাতের বাবা। জানা গেছে, মতিউর রহমানই ইফাতের বাবা। মতিউর দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর নাম লাইলা কানিজ। যিনি বর্তমানে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। মতিউর প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে থাকেন বসুন্ধরায়। দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তারের সন্তান মুশফিকুর রহমান ইফাত। থাকেন ধানমন্ডির বাসায়। আর তার মা থাকেন কাকরাইলের একটি ফ্ল্যাটে। ইফাতের আরেক বোন ফারজানা রহমান ইস্পিতা থাকেন কানাডায়।
রাজধানীর ধানমন্ডির ৮ নম্বর রোডের ইমপেরিয়াল সুলতানা ভবনের পঞ্চম তলায় থাকেন ইফাত। ইমপেরিয়াল সুলতানা ভবনের নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ইফাত মঙ্গলবার বাসা থেকে বের হয়ে আর আসেননি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী গণমাধ্যমকে বলেন, ইফাত আমার মামাতো বোন শাম্মী আক্তার শিবুর সন্তান। আর মতিউর রহমানই ইফাতের বাবা। এটাই সত্যি। ইফাত এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে। কিন্তু এখন তিনি কেন তার সন্তানকে অস্বীকার করছেন, তা আমার জানা নেই।
এবার কোরবানির ঈদে ইফাত রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক এগ্রো থেকে একটি ছাগল ছাড়াও ঢাকার অন্তত সাতটি খামার ও একটি হাট থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন। গত বছরও কিনেছেন ৬০ লাখ টাকার পশু।
ঢাকার আশপাশে ১০টি খামারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইফাত এ বছর সাতটি খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন। তবে ফেসবুকে বিতর্কের মুখে সাদিক এগ্রো থেকে কেনা ওই ছাগল তিনি আর বাসায় নেননি। অন্য খামার ও হাঁট থেকে কেনা পশু তিনি ডেলিভারি নিয়েছেন।
উচ্চ বংশের পশু বিক্রেতা সাদেক এগ্রোর মালিকও জানিয়েছে ছাগলটি কেনার জন্য এক লাখ টাকা অগ্রিম দিলেও ইফাত শেষ পর্যন্ত ছাগলটি কেনেননি। এখনো খামারে বিক্রির অপেক্ষায় সেই ছাগল।
![ছাগল নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড, ইফাতের বাবা কে?](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/21/image-279088-1718907332.jpg)