• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo

স্মারকলিপি দিতে বঙ্গভবনে কোটাবিরোধীদের প্রতিনিধি দল

আরটিভি নিউজ

  ১৪ জুলাই ২০২৪, ১৪:৪০
সংগৃহীত ছবি

সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে জাতীয় সংসদে আইন পাসের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিতে বঙ্গভবন গেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমন্বয়কদের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

রোববার (১৪ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণপদযাত্রা করে শাহবাগ, মৎস্যভবন ও হাইকোর্ট হয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে পৌঁছান আন্দোলনকারীরা।

জানা গেছে, স্মারণলিপি নিয়ে বঙ্গভবন যাওয়ার পথে গুলিস্তানের জিরোপয়েন্টে ব্যারিকেড দিয়ে আন্দোলনকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। পরে সেখান থেকেই আন্দোলনকারীদের সমন্বয়কদের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিতে যায়। এদিকে অন্য শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে এবং জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন। প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিয়ে ফিরে না আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান করবেন।

আন্দোলনকারীদের অবরোধের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে জিরো পয়েন্ট। ফলে আশপাশের সড়কগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটাপদ্ধতি বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর মাধ্যমে ৪৬ বছর ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যে কোটাব্যবস্থা ছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নামেন।

টানা কয়েকদিন আন্দোলনের পর গত ৯ জুলাই কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। পরেরদিন হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে। তবে শিক্ষার্থীরা আপিল বিভাগের এই আদেশ প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আউয়াল কমিশনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি
আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ড. ইউনূসের চিঠি
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে: প্রস্তাব জাপার
বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে কুয়েতের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান