বেনজীরের মতো পাওয়ারফুল না হওয়ায় আবেদ আলী গ্রেপ্তার হয়েছেন: হাইকোর্ট
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা রিটের শুনানি হয়েছে হাইকোর্টে। এই শুনানিতে আদালত প্রশ্ন করেন, বেনজীর আহমেদকে চেনেন না এমন পুলিশ কর্মকর্তা নেই। অথচ, দেশের বাইরে চলে গেছেন। নিশ্চয়ই কোনো না কোনো চ্যানেলে সে বাইরে গেছেন। আমরা শুনেছি বিমানবন্দর দিয়ে তিনি দেশের বাইরে গেছেন। তাহলে তিনি কীভাবে দেশের বাইরে চলে গেলেন?
রোববার (১৪ জুলাই) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চ এ শুনানি করেন। শুনানিতে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুজ্জামান ও মুরাদ ভুইয়া।
হাইকোর্ট বলেন, বেনজীর আহমেদের মতো এতটা পাওয়ারফুল নয় আবেদ আলী। তবে ফাঁসকৃত প্রশ্ন যাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে এবং যারা এর পেছনে রয়েছে তারা পাওয়ারফুল। তদন্ত সংস্থা কি তাদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতা রাখেন? যদি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা নাই থাকে তাহলে সেভাবেই আদেশ দেওয়া হবে।
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুজ্জামান বলেন, তিনি (বেনজীর) দেশের বাইরে গেছেন কিনা সেটা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।
হাইকোর্ট বলেন, ব্যাংকে এক লাখ টাকার জন্য গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আর বেনজীর আহমেদ কোটি কোটি টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে গেছেন।
রিটকারী মুরাদ ভুইয়া বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসে যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন করতে হবে। ২৪ থেকে ৪৫তম বিসিএসের পরীক্ষায় আবেদ আলী কর্তৃক প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুবিধা নিয়ে যারা বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে এই তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
মন্তব্য করুন