শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশন কার্যকর আগামী বছর থেকে
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পেনশন স্কিমে যোগদান এ বছর নয়, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে তারা এই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত হবেন।
রোববার (১৪ জুলাই) জাতীয় পেনশন স্কিম কর্তৃপক্ষের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফলে আগামী বছরের ১ জুলাইয়ের পর চাকরিতে যোগ দেওয়া বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই স্কিমের আওতায় অবসরকালীন সুবিধা পাবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে যারা ২০২৫ সালের ১ জুলাই বা তার পরে চাকরিতে যোগ দেবেন তারা বাধ্যতামূলকভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসবেন।
সরকার গত বছরের ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হয়। আর স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য গত ১৩ মার্চ প্রত্যয় স্কিম ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই স্কিমকে বৈষম্যমূলক দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।
আগের ঘোষণা অনুযায়ী এই স্কিম চালু হওয়ার কথা এ বছরের ১ জুলাই থেকে। এই দিন থেকেই কর্মবিরতিতে আছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাও স্থগিত রয়েছে। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, প্রত্যয় স্কিম বাতিল করা হলে ক্লাসে ফিরবেন তারা।
এর আগে, শনিবার বেলা ১১টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কবির। সেই বৈঠকের পর কাদের বলেন, শিক্ষকদের অন্যান্য দাবি নিয়েও সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হবে। তাদের মর্যাদা, আর্থিক সুবিধাদি নিয়ে আলোচনা করেছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছি। তারা বলেছেন, সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে বৈঠক শেষে সেই সময়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেছেন, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।
মন্তব্য করুন