ঢাকাতে চলমান সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার অভিযোগ নাকচ করেছেন বাহিনীটির মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এ কথা জানান তিনি।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, এগুলো প্রোপাগান্ডা। আমরা নিজেরাও ভিডিও করেছি। হেলিকপ্টার থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ও গ্যাস সেল ফায়ার করা হয়েছে। কোনো গুলি করা হয়নি। স্বাধীনতাবিরোধী, সন্ত্রাসীরা সব সময় সুযোগসন্ধানী। তারা সুযোগ পেলেই ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে চায়। তাদের ধারণা, সহিংসতা ও জঙ্গি হামলা করে এই সরকারের পতন ঘটাবে। এটা আসলে দিবাস্বপ্ন, যা কখনো বাস্তবায়িত হবে না। যারা এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে বিটিভি, মেট্রোরেল স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় নাশকতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তারা হলেন তারেক রহমান, সজল মিয়া, আল ফয়সাল রাফি ও আরিফুল ইসলাম।
তাদের গ্রেপ্তারের পর র্যাব মুখপাত্র লে. কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস জানান, তারেক গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব। তার নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় বাকিরা বিটিভি ভবন, মেট্রোরেলের স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও অগ্নিসংযোগ করে। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের কাছে অর্থ আসত। আন্দোলনের কথা বলে আনা অর্থ নাশকতার কাজে ব্যয় করে আসছিল তারা। অর্থদাতা হিসেবে চারজনের নাম পাওয়া গেছে। অর্থদাতারা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে।