আবু সাঈদ হত্যার বিচার চাইলেন তার বিভাগের শিক্ষকরা
কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার সঠিক তদন্ত ও দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছে তার বিভাগের শিক্ষকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আসিফ আল মতিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় অনেক মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে। এ ছাড়াও অনেক নিরপরাধ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। এ নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরা খুবই উদ্বিগ্ন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গোটা জাতি দেখেছে পুলিশ নিরস্ত্র আবু সাঈদকে বন্দুকের নলের সামনে থেকে গুলি করেছে। আমরা আশা করছি ও অনুরোধ জানাচ্ছি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা কোনো অবহেলা না করে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনবে।
প্রসঙ্গত, রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন গুলিবিদ্ধ হয়ে আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনায় ১৭ জুলাই তাজহাট থানায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী ওই থানার উপপরিদর্শক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘বেলা ২টা ১৫ মিনিটের দিকে ছাত্র নামধারী সুবিধাভোগী রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনরত দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন দিক থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ও তাদের নিকটে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র হতে এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও এপিসি গাড়ির মধ্য হতে কং/ ১১৮৬ সোহেল তার নামীয় সরকারি ইস্যুকৃত শটগান হইতে ১৬৯ রাউন্ড রাবার বুলেট ফায়ার করে। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।’
তবে পুলিশের এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকরা। তারা বলছেন, পুলিশ গুলি কীভাবে আবু সাঈদকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে তা ভিডিওর মাধ্যমে সারা দুনিয়া দেখেছে। কিন্তু পুলিশ চরম মিথ্যাচার করে নিজেদের দোষ ঢাকার চেষ্টা করছে।
মন্তব্য করুন