সারাদেশে ১৪ পুলিশ সদস্য নিহত, আহত তিন শতাধিক
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক আন্দোলন ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানীসহ সারাদেশ। রোববার (৪ আগস্ট) দিনব্যাপী বহু হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮৬ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে আছে ১৪ জন পুলিশ সদস্যও।
নিহত ১৪ জন পুলিশ সদস্যের মধ্যে ১৩ জনই সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার। বাকি একজন কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার পুলিশের সদস্য।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক বার্তায় বলা হয়েছে, রোববার (৪ আগস্ট) দেশের বিভিন্ন জায়গায় ২৭টি থানা-ফাঁড়ি, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, রেঞ্জ অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় তিন শতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
হামলা ও ভাঙচুরের শিকার থানা-ফাঁড়িগুলো হলো রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও খিলগাঁও থানা, টাঙ্গাইলের গোড়াই হাইওয়ে থানা, বগুড়ার সদর, দুপচাঁচিয়া ও শেরপুর থানা, নারুলী পুলিশ ফাঁড়ি; জয়পুরহাট সদর থানা, কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানা, রংপুরের গঙ্গাচড়া, মিঠাপুকুর, পীরগাছা, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ; ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ থানা, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর থানা; হবিগঞ্জের মাধবপুর ফাঁড়ি, ময়মনসিংহ রেঞ্জ অফিস, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং দিনাজপুর সদর থানা।
এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ জন পুলিশ সদস্যকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক জানান, আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে এসে এনায়েতপুর থানায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে তারা থানায় আগুন দেয় এবং সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে হত্যা করে।
পুলিশ সদরদপ্তর এই তথ্যের সঙ্গে কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ থানায় একজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খায়রুল আলম জানান, নিহত কনস্টেবলের নাম মো. এরশাদ আলী। হঠাৎ করে আন্দোলকারীরা ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় আক্রমণ করে। এসময় পুলিশ সদস্যরা ছাদে উঠে যায়। কিন্তু এরশাদ আর উঠতে পারেননি। এরশাদকে পিটিয়ে তাকে হত্যা করে তারা।
মন্তব্য করুন