সরকারি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে শেখ হাসিনা-মন্ত্রীদের নাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে অন্যান্য মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছেন বলে গণ্য হয়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সরকারি ওয়েবসাইটগুলো থেকে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নাম সরানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের ওয়েবসাইটে পরিবর্তন দেখা যায়। কোনো ওয়েবসাইটেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পরিচিতিতে আগের মতো মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর কোনো ছবি দেখা যাচ্ছে না। সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের ছবি ও পরিচিতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে গ্যালারিতে বা হোম পেজের নকশায় এখনো কয়েকটি ওয়েবসাইটে তাদের কিছু ছবি রয়েছে।
দেখা যায়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে শুধু মন্ত্রিপরিষদ সচিবের তথ্য ও ছবি রয়েছে। এই ওয়েবসাইটের সব বিভাগ সক্রিয় আছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ওয়েবসাইট চালু আছে। ওয়েবসাইটের মূল পাতায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো ছবি বা তথ্য নেই। তবে গ্যালারিতে তাদের ছবি রয়েছে। বিভাগের সচিব মো. মুশফিকুর রহমানের ছবি দেখা যায় সাইটটিতে। এটি সর্বশেষ হালনাগাদ করা হয়েছে আজ ৬ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টায়।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইট ঠিকানা চালু আছে। ঠিকানার ডান পাশে সচিব মো. সামসুল আরেফিনের ছবি দেখা যায়। ওয়েবসাইটের নোটিশ বিভাগে সর্বশেষ ২৮ জুলাই দুটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটও চালু আছে। ওয়েবসাইটের ডান দিকে সচিব মো. সামসুল আরেফিন ও নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের ছবি ও তথ্য দেখা যায়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করা হলেও প্রবেশ করা যায়নি। ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেম সিস্টেমের (ডিএনএস) ত্রুটির কারণে সাইটটি বন্ধ রয়েছে বলে দেখা যায়। এ ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইট চালু নেই। ডিএনএস-সংক্রান্ত ত্রুটির কারণে ওয়েবসাইটটি দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে সরকারের অর্থায়নে তৈরি ‘মুজিব ১০০’ ওয়েবসাইটটিতে সার্ভারজনিত ত্রুটি দেখা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব ঠিকানায় যাওয়া যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে (https://btv.gov.bd) আজ ঢোকা যায়নি। সাইট লোড হতে দীর্ঘক্ষণ ব্যয় হলেও সাইটটি খোলেনি।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট চালু আছে। তবে এতে মন্ত্রীর ছবি ও পরিচিতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের ছবি ও বিস্তারিত তথ্য দেখা যায়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট চালু আছে। ওয়েবসাইটে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্তা হিসেবে মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর কোনো তথ্য বা ছবি নেই।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট চালু আছে। সচিব মো. আশরাফ উদ্দিনের ছবি ও তথ্য দেখা যায়। সর্বশেষ ওয়েবসাইটের নোটিশ বোর্ড ৪ আগস্ট পর্যন্ত হালনাগাদ হয়েছে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট চালু আছে। ওয়েবসাইটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের ছবি ও তথ্য দেখা যায়। এ ছাড়া এনআইডি অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেমের মাধ্যমে আইডি কার্ডের সংশোধন ও আবেদন করা যাচ্ছে এই ঠিকানায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট চালু আছে। জ্যেষ্ঠ সচিব মাসুদ বিন মোমেনের ছবি ও তথ্য দেখা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কোনো ধরনের তথ্য বা ছবি দেখা যায়নি।
মন্তব্য করুন