ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন পেলেন যে মন্ত্রণালয়
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শুক্রবার (৯ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্য সংখ্যা হচ্ছে ১৭ জন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এই সরকারের ১৭ সদস্যের নাম প্রকাশ্যে এসেছে। ১৬ উপদেষ্টার একজন ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
এ ছাড়া অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় পেয়েছেন সালেহ উদ্দিন আহমেদ, আইন, বিচার ও সংসদ ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়- মো. তৌহিদ হোসেন, আদিলুর রহমান খান- শিল্প, হাসান আরিফ- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, শারমিন মুরশিদ- সমাজকল্যাণ, স্বরাষ্ট্র, ড. আ ফ ম খালিদ হাসান- ধর্ম, ফরিদা আখতার- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, নূরজাহান বেগম- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি নাহিদ ইসলাম ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ১৯৪৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বরিশালে। ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এবং দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রায় দুই বছর পাকিস্তানের বন্দিশিবিরে কাটিয়ে ১৯৭৩ সালে দেশে ফেরেন এবং ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় ৪৬ ব্রিগেডে স্টাফ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সাখাওয়াত হোসেন ১৯৭৯-৮১ সালে ঢাকায় সেনাসদরে গুরুত্বপূর্ণ পদে অপারেশন ডিরেক্টরেট নিয়োজিত হন। পরে তিনি ব্রিগেডের অধিনায়ক হিসেবে দুটি ইনফেনট্রি ব্রিগেড ও একটি আর্টিলারি ব্রিগেডের অধিনায়ক ছিলেন। বাংলাদেশের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে প্রথম এবং দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিখ্যাত ইউএসএ কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ জেনারেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে গ্র্যাজুয়েশন করেন। তিনি পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডিফেন্স এডিসি ইসলামাবাদ ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে মাস্টার্স এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, ঢাকা থেকে এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছর তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মন্তব্য করুন