দেশের প্রথম আলেম উপদেষ্টা হয়ে যা বললেন খালিদ হোসেন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা এক দফা দাবির মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রায় ৪০০ অতিথির উপস্থিতিতে শপথ নেন তিনি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ পাঠ করান। ড. ইউনূসের পর শপথ নেন ১৩ উপদেষ্টা।
নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আলেম প্রতিনিধি হিসেবে জায়গা পেয়েছেন ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম আলেম উপদেষ্টা।
নতুন দায়িত্ব পাওয়া আলেম উপদেষ্টা খালিদ হোসেন বলেন, একটি ক্রান্তিকাল পেরিয়ে দায়িত্ব নিয়েছি। এখন আমাদের মূল কাজ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ভুল বোঝাবুঝি নিরসন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা।
তিনি বলেন, আমরা একটি ক্রান্তিকাল পেরিয়ে দায়িত্ব নিয়েছি। এ সময় আমাদের মূল কাজ শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও বজায় রাখা। মানুষের মধ্যে যে পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে তা নিরসন করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের একটি সুস্থ পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেন আমরা সুস্থ প্রতিনিধিত্বশীল নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারি।
খালিদ হোসেন বলেন, মানুষের মধ্যে যেন স্বস্তি ফিরে আসে প্রথমে এ নিয়ে আমরা কাজ করব। বাকি কাজগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে করবো।
আ ফ ম খালিদ হোসেন ইসলামি অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয়। তার মূল নাম আবুল ফয়েজ মুহাম্মদ খালিদ হোসেন। তিনি ১৯৫৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের মক্কার বাড়ির এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমির, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের শিক্ষা উপদেষ্টা, মাসিক আত তাওহীদের সম্পাদক, বালাগুশ শরকের সহকারী সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের কুরআনিক সায়েন্সেস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অতিথি শিক্ষক।
মন্তব্য করুন