সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাতের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও তার স্ত্রী শারমিন মুশতারীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
সোমবার (১২ আগস্ট) সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টও স্থগিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্থগিত করা হিসাব সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিলাদি (হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী প্রভৃতি) তিন কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে হবে।
মন্তব্য করুন
আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে, জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ৬ তলায় আগুন লেগে তা উপরের দিকে ছড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সচিবালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান উপদেষ্টা। এ সময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তিন চার জায়গায় নয়, আগুনটা ছয়তলায় লেগেছে এবং সাত, আট উপরের দিকে গেছে। নিচে আর আসতে পারেনি। কি হচ্ছে তা আমরা এখন দেখবো। পুরোটা সার্চ করার পরে কিছু পাওয়া যায় কিনা আমরা জানাবো।
তিনি বলেন, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে রাত ১টা ৫০ মিনিটে ছয়তলায় আগুন ধরে। ১টা ৫২ মিনিটে খবর দেওয়া হয়। ১টা ৫৪ মিনিট থেকে তারা তাদের কাজ শুরু করে। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
নয় তলা বিশিষ্ট ৭ নম্বর ভবনটির ৬ তলায় যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ৭ তলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৮ তলায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, ৯ তলায় রয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ রয়েছে।
সচিবালয়ের সামনে এখনো সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। ঘটনার পর সচিবালয়ের এক ও দুই নম্বর গেইট বন্ধ রয়েছে। সকাল ৯টার আগেই প্রবেশের জন্য বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী সচিবালয়ের গেটগুলোর সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন। পরে প্রেসক্লাবের দিকে ৫ নম্বর গেইট দিয়ে সীমিত পরিসরে কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রবেশ করানো হচ্ছে।
আরটিভি/এসএপি-টি
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাব্য কারণ জানা গেল
ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন থেকে সচিবালয়ে আগুন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ের সামনে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক বলেন, সচিবালয়ের আগুন লাগার কারণ সম্ভবত ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন ছিল। এক জায়গা আগুন ধরলে বিদ্যুৎ লাইনের মাধ্যমে সব জায়গা ছড়িয়ে পড়ে। এটা হতে পারে।
তিনি বলেন, সচিবালয়ে লাগা আগুনের প্রাথমিক কারণ এখনও আমরা বের করতে পারিনি। আগুন নেভানোর পর আমরা যখন সব জায়গা তল্লাশি করব, তখন হয়তো আপনাদেরকে একটা ধারণা দিতে পারব।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল বলেন, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, তিনটি জায়গায় একসাথে আগুন দেখা গেছে। যখন স্পার্কিং হয়, যদি বিদ্যুৎ লাইনের শর্ট সার্কিট হয়-এটা হতে পারে। তবে এটা এখনই নিশ্চিত বলব না; যতক্ষণ পর্যন্ত না তদন্ত শেষ করছি।
এর আগে, বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগে। সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটটি আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে রাত ১টা ৫৪ মিনিট থেকে। এরপর আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৮ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়। সবশেষ ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সচিবালয়ের সামনে এখনো সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। ঘটনার পর সচিবালয়ের এক ও দুই নম্বর গেইট বন্ধ রয়েছে। সকাল ৯টার আগেই প্রবেশের জন্য বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী সচিবালয়ের গেটগুলোর সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন। পরে প্রেসক্লাবের দিকে ৫ নম্বর গেইট দিয়ে সীমিত পরিসরে কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রবেশ করানো হচ্ছে।
আরটিভি/এসএপি-টি
সচিবালয়ের ৮ তলায় মিলল কুকুরের দগ্ধ মরদেহ, চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের ১৯ ইউনিটের চেষ্টায় ১০ ঘণ্টা পর পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন নেভার পর ভবনের ৮ তলায় একটি কুকুরের পুড়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ৫মিনিটে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। দুপুরের দিকে পুরোপুরি নিভে যায়।
জানা গেছে, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিভে গেলে কুকুরের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন কোনো সরকারি কর্মকর্তা শখের বসে অফিসে কুকুর পুষেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, কোন কারণে হয়তো কুকুরটি ভবনে ঢুকে পড়েছিল। তবে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
এ বিষয়ে ফায়ার ফাইটার মো. ইমরান শিকদার বলেন, ‘কোনো ভবনে আগুন নির্বাপণ করার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুরো ভবন খুঁজে দেখা হয়। কারণ, সেখানে আহত বা নিহত অবস্থায় কেউ থাকতে পারেন। সেই কাজ করার সময় আমরা কুকুরের পুড়ে যাওয়া দেহটি খুঁজে পাই।’
এদিকে আগুনে ছাই হয়ে যাওয়া ফ্লোরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ছিল। এ সব মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সব নথি, কম্পিউটারসহ সবকিছু এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে মধ্যরাতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের শুরুতে রাত ১টা ৫৪ মিনিট থেকে সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে। তবে তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৯টি ইউনিটের দীর্ঘ প্রায় ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লাগে ১০ ঘণ্টা। এরই মধ্যে এ ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।
আরটিভি/এসএপি-টি
শেখ হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও অর্থপাচারের প্রমাণ পেয়েছে।
সম্প্রতি নিজেদের লন্ডন প্রতিনিধির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটি।
জানা গেছে, স্পেশাল এজেন্ট লা প্রিভোটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের সিনিয়র ট্রায়াল অ্যাটর্নি লিন্ডা স্যামুয়েলস। তিনি দেখতে পান বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন মার্কিন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। গত মাসের ৯ তারিখে এফবিআইর একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মানিলন্ডারিং অ্যান্ড লিগ্যাল ইউনিটের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে বিপুল পরিমাণ দলিল বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে এফবিআইয়ের প্রতিনিধি দলটি।
দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত মাসের ১ তারিখে বাংলাদেশে ইইউ ডেলিগেশনের হেড অব কো-অপারেশন মাইকেল ক্রেজার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তৎকালীন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎতে পাচার হওয়া তহবিল প্রত্যাবাসন ও কমিশনের পরিচালন সক্ষমতা বাড়াতে কারিগরি সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা আরও জানায়, ২০১৪ সালে ‘যুক্তরাষ্ট্র বনাম রিজভী আহমেদের মামলায়’ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম প্রথম নজরে আসে। এফবিআইয়ের তদন্তে জয়ের গুরুতর আর্থিক অসদাচরণের বিষয়টি উঠে আসে। বিশেষত জয়ের নামে হংকং এবং কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি এবং লন্ডন ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তরিত করার তথ্য সামনে এসেছে।
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বিচার বিভাগের একজন বিশেষ এজেন্ট জানিয়েছেন, কেম্যান আইল্যান্ড ও হংকংয়ের শেল কোম্পানির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশ থেকে ৩০ কোটি ডলার জমা হয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ঘটনা অনেকাংশেই সত্য। আমরা ভবিষ্যতে আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে পারি। এ বিষয়ে আমরা পরে সরাসরি কথা বলব।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। এ অভিযোগ অধিকতর তদন্তের জন্য দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) বরাবর পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেপজা ও বেজার আওতাধীন ৯টি অগ্রাধিকার উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শেখ হাসিনা, জয়, হাসিনার বোন শেখ রেহানা, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ওঠা ৭০০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে পৃথকভাবে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, আশ্রয়ণসহ আরও কিছু প্রকল্প।
অভিযোগ আছে, শুধুমাত্র রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ৭০০ কোটি ডলারের মধ্যে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তে ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকসহ তার পরিবারের নামও রয়েছে। আরও অভিযোগ আছে, ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অস্ত্র সরবরাহের একটি চুক্তির মধ্যস্থতা করছিলেন টিউলিপ। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছিল।
সম্প্রতি দেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে প্রকাশিত শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বার্ষিক ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি-টি
টোল প্লাজায় দুর্ঘটনা / বাসের ব্রেকে সমস্যা ছিল, চালক নেশা করতেন: র্যাব
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কুচিয়াপাড়া এলাকার টোল প্লাজায় ছয়জন নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাসটির ব্রেকে সমস্যা ছিল এবং চালক নেশা করতেন।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) র্যাব-১০-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বাসচালকের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বাসটি অনেক দিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়েছিল। মেরামতের পর সেদিনই সড়কে নামানো হয়। বাসচালক প্রথম থেকেই বুঝতে পারেন ব্রেকে সমস্যা ছিল। মালিককে সেটা জানালে তিনি আস্তে আস্তে চালিয়ে যেতে বলেন। দুর্ঘটনার সময় বাসটিকে অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি বলে দাবি করেছেন চালক।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাসচালক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন (২৬) র্যাবকে জানিয়েছেন, তার লাইসেন্স নবায়ন ছিল না এবং তিনি গাঁজা সেবন করতেন। তবে শুক্রবার বাস চালানোর সময় তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন না
এর আগে, শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বাসচালক মোহাম্মদ নুর উদ্দিনকে আটক করা হয়। এদিন বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কুচিয়াপাড়া এলাকার টোল প্লাজায় বাসের ধাক্কায় দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে থাকা ৬ জন নিহত হন।
আরটিভি/এসএপি-টি
৩১ ডিসেম্বর মুজিববাদের কবর রচিত হবে: আসিফ মাহমুদ
৩১ ডিসেম্বর মুজিববাদের কবর রচিত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ঘোষণাপত্রের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিবাদ, মুজিববাদের কবর রচিত হবে।
তিনি আরও বলেন, দলমত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিকের মুক্তির সনদ। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ। ৩৬ জুলাই পূর্ণতা পাক ৩১ ডিসেম্বরে।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একের পর এক রহস্যজনক স্লোগান লিখে আলোচনার জন্ম দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা। ফলে সেদিন কী হতে যাচ্ছে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
মূলত শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ক্যাম্পেইন চালানো শুরু করেন তারা।
এর মধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেন, ‘এ বছরই হবে। ৩১ ডিসেম্বর। ইনশা আল্লাহ!’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘Comrades, 31st DECEMBER! Now or Never.’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রশিদ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘All eyes on 31st December, 2024. Now or Never!’
তবে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামী ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই প্রক্লেমেশন (ঘোষণা) হবে। সেখানেই ঘোষণা দেওয়া হবে।’
তবে ওই দিন নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না এটা জুলাই প্রক্লেমেশন।’
এর বেশি তিনি কিছু বলতে চাননি।
আরটিভি/এমকে
ছাত্রদল সভাপতির সঙ্গে দীপ্তির বাগবিতণ্ডা, হাসনাতের প্রতিবাদ
উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী মূলত একটি টেলিভিশন টকশোতে ‘টু দ্য পয়েন্ট’ নামে একটি অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের ভূমিকায় থেকে আলোচনায় আসেন। ধৈর্য ও মার্জিত আচরণের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সবার নজর কাড়েন তিনি। সম্প্রতি আবারও আলোচনায় দীপ্তি চৌধুরী। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আলোচনার বিপরীতে হয়েছেন সমালোচিত।
সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশোতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব অংশ নেন। এতে ছাত্রসংগঠনের নেতা হয়েও ‘ছাত্রত্ব কেন নেই’ এমন প্রশ্ন ইস্যুতে উপস্থাপকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ছাত্রদল সভাপতি।
এ ধরনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উপস্থাপক দীপ্তি চৌধুরী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবকে জিজ্ঞেস করছেন, আপনার ছাত্রত্ব আছে কিনা? জবাবে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, না, আমার ছাত্রত্ব নেই। এরপর উপস্থাপক আরও জানতে চান তাহলে আপনি কিভাবে ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্বে? এরপরই সভাপতি রাকিব বলেন, এ প্রশ্ন বা কথাগুলো আপনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে জিজ্ঞেস করলে ভালো হতো। পরিপ্রেক্ষিতে দীপ্তি চৌধুরী বলেন, এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার সঙ্গে ফ্যাসিস্ট হাসিনার কোনো সম্পর্ক নেই। একপর্যায়ে উপস্থাপকের সঙ্গে ছাত্রদল সভাপতি তুমুল বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, রেকর্ডিং অনুষ্ঠানের অফ-রেকর্ড কথাবার্তা প্রচার করা সাংবাদিকতার নীতিবিরুদ্ধ। ছাত্রদল সভাপতির সঙ্গে যা করা হয়েছে, তা সাংবাদিকতার নৈতিকতার বাইরে। ক্লিকবেইট এবং হেনস্থার সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে এসে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা অব্যাহত থাকুক।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীপ্তি চৌধুরীকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন অনেকেই। দীপ্তি চৌধুরীর সাংবাদিকতার নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
আরটিভি/একে-টি