শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে আরও ২৩ জনকে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক হুমায়ূন কবিরের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য কাফরুল থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলাটি দায়ের করেছেন ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মো. রাজিব নামে এক ব্যক্তি।
এর আগে, সোহেল রানা নামে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, সাবেক র্যাব ডিজি বেনজীর আহমেদ এবং র্যাবের অজ্ঞাত ২৫ সদস্যকে আসামি করা হয়।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে এই মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগী আইনজীবী সোহেল রানা। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
তারও আগে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যবসায়ী।
ওই হত্যা মামলার অভিযোগে বলা হয়, সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল সমাবেশ করে। ওইসব শান্তিপূর্ণ মিছিলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। বহু ছাত্র-জনতা নিহত ও আহত হন। গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে বসিলার ৪০ ফিট এলাকায় ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল সমাবেশ করছিল। সেখানেও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। এতে তিনি ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন।
অভিযোগে মামলার বাদী বলেন, নিহত সায়েমকে তার গ্রামের বাড়িতে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নতুন বস্তি প্রধান হাটে নিয়ে দাফন করা হয়। তার মা, স্ত্রী, ছেলে সন্তান সেখানেই থাকেন। এ কারণে তারা ঢাকায় এসে মামলা করতে অপারগ। এ জন্য বিবেকের তাড়নায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি এই মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগে বাদী আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন কঠোর হস্তে দমন করার জন্য বারবার নির্দেশ দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে পুলিশের আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধীনস্থ পুলিশদের নির্দেশ দিয়ে মিছিলে গুলি চালায়। পরস্পর যোগসাজশে আসামিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কাজেই এর বিচার হওয়া প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন