জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
মানুষকে আটকে রেখে নির্যাতন মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়
বিচার বহির্ভূতভাবে মানুষকে আটক রেখে নির্যাতন করার যে চিত্র প্রকাশ পেয়েছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায় বলে মনে করে মানবাধিকার কমিশন। সংস্থাটি বলছে, এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
‘গুম হওয়াদের সন্ধান চান স্বজনরা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (১৪ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই খবর কমিশনের নজরে আসার পর সুয়োমোটো গ্রহণ করা হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত সুয়োমটোর বিষয়বস্তুতে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে নিখোঁজ ও গুম হওয়াদের সন্ধান চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও কার্যালয় যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বজনরা।
ওইদিন দুপুরে রাজধানীর ভিআইপি সড়কে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এসময় শতাধিক নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। কারও স্বামী, কারও বাবা, কিংবা কারও ভাইয়ের খোঁজে তারা অবস্থান করেন।
তেজগাঁও থানা যুবদলের নেতা বশির উদ্দীন হাওলাদার ২০১১ সালের ১৪ জুন রাজধানীর গুলিস্তান থেকে নিখোঁজ হন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার স্ত্রী হোসনে আরা ও সন্তানরা যমুনার সামনে তাকে ফিরে পাওয়ার দাবি জানান।
সুয়োমটোতে উল্লেখ রয়েছে, আইনের আশ্রয়লাভ একটি সাংবিধানিক অধিকার। কোনো ব্যক্তি অপরাধ করে থাকলে প্রচলিত আইনে তার বিচার হওয়া উচিত কিন্তু কোনো প্রকার গ্রেপ্তার না দেখিয়ে বিগত কয়েক বছরে বহু মানুষ নিখোঁজ ও গুমের শিকার হয়েছে মর্মে খবর পাওয়া যায়। যাদের অনেকের খোঁজ আজ অবধি পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন