ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট রাজধানীর জিগাতলা এলাকায় মাথায় গুলি লেগে আহত হওয়া রিয়াজ নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
রিয়াজের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রিয়াজ বরিশালের মূলাদী ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিলেন। তবে ঢাকায় ব্যবসায়িক কাজে তার খালার বাসায় থাকতেন বেশি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে মাঠে ছিলেন তিনি। ৪ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে তার মাথায় একটি গুলি লাগে। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে পরবর্তীকালে তাকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে বেশ কিছুদিন আইসিইউতে থাকার পর শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেল ৩.৫০ মিনিটে মারা যান রিয়াজ।
রিয়াজের বড় ভাইয়ের বন্ধু আরটিভিকে বলেন, রিয়াজের মরদেহ এখনো ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালেই আছে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেলে তার প্রথম জানাজা শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হবে। পর তার নিজ এলাকা বরিশালের হিজলায় নিয়ে যাওয়া হবে ও সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন হবে।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং এর পরবর্তী সময়ে সরকার পতনের পর সারা দেশে অন্তত সাড়ে ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত গণমাধ্যম ও অন্যান্য সূত্রের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, সরকার পতনের পর ৫ থেকে ৭ আগস্টের মধ্যে বিক্ষোভের নতুন ধাক্কায় ২৫০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে গত জুনের মাঝামাঝি সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে প্রথমে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে জুলাইয়ে বিক্ষোভ দমনে সহিংসতা ও নিরাপত্তা বাহিনী গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
মন্তব্য করুন