বিপৎসীমার ওপরে ৯টি ও নিচে ৫ স্টেশনের পানি
টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় কবলিত হয়েছে দেশের ১১ জেলা। এ সময় প্রায় সাত নদীর ১৪টি স্টেশনের পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল; যা বর্তমানে কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে দেশের ছয় নদীর ৯ স্টেশনের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, বর্তমানে নদীর পানি নামতে শুরু করেছে। ভারী বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এখনও কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, গোমতী, ফেনী নদীর বেশ কয়েকটি স্টেশনের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র তথ্য অনুযায়ী, বিগত ৬ ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চলীয় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলার ভারতীয় ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং ত্রিপুরা প্রদেশের অভ্যন্তরীণ অববাহিকায় উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি এবং উজানের নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস অব্যাহত আছে। ফলে বর্তমানে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলের বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত আছে।
এদিকে, দেশের নয় অঞ্চলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (২৪ আগস্ট) দিনগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে, আবহাওয়ার আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রোববার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।
মন্তব্য করুন