তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায় রিভিউর সিদ্ধান্ত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এজন্য আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত থেকে অনুমতিও নিয়েছেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া।
রোববার (২৫ আগস্ট) মতিঝিলের ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে রিভিউকারীদের পক্ষের আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
শরীফ ভূঁইয়া জানান, প্রায় ৮শ’ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। এ বিষয়ে চেম্বার জজ আদালত থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রিভিউ এর ফাইল করা হবে।
আপিল বিভাগের সেই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন, যা আজ চেম্বার আদালতে ওঠে। অন্য চার ব্যক্তি হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
১৯৯০ সালে স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পরিপ্রেক্ষিতে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হয়।
ক্ষুব্ধ হয়ে ১৯৯৮ সালে এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহ। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন।
সেই রায়ে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করে বলা হয়, ১৯৯৬ সালের ত্রয়োদশ সংশোধনী সংবিধান সম্মত। এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ।
এই আপিল মঞ্জুর করে ২০১০ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ রায় ঘোষণা করেন। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।
এদিকে, রিমান্ডে থাকা সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের বিষয়ে বলেন, আদালত স্বাধীন। এ সংক্রান্ত রায় আদালত থেকে এসেছে। সরকার শুধু বাস্তবায়ন করেছে।
এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আদালত তো বলেছিলেন, সরকার চাইলে আরও দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখতে পারে।
আনিসুল হক শেখ হাসিনার ওপর দোষ চাপিয়ে বলেন, এসব হয়েছে শুধু প্রধানমন্ত্রীর রাগ এবং একগুঁয়েমির কারণে। শেখ হাসিনার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না আমাদের।
মন্তব্য করুন