গুলশানের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায়নি আরাফাতকে
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) আটক করা হয়েছে বলে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আটকের তথ্য জানান। তবে আটকের বিষয়ে রাতে আপডেট নিতে যোগাযোগ করা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দায়িত্বশীল কেউ এর সত্যতা নিশ্চিত করেননি। ফলে আটকের বিষয়টি নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ওবায়দুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, তাদের কাছে মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে আটকের কোনো তথ্য নেই। ডিবিতে খোঁজ নিয়েছিলেন, সেখানেও আটকের কোনো তথ্য মেলেনি।
সপ্তাহ দুয়েক আগে মোহাম্মদ এ আরাফাত ও তার স্ত্রী শারমিন মুশতারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে সব ব্যাংককে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
এক চিঠিতে ব্যাংকগুলোকে এ দুজনের নামে থাকা ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সব ধরনের টাকা তোলা বন্ধ করতে বলা হয়।
গত বছরের জুলাইয়ে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আলোচনায় আসেন আরাফাত। নির্বাচনে অংশ নিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলম। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ শেখ হাসিনা করে দেশ ছেড়ে পালালে তার সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতারা গা ঢাকা দেন।
কেউ কেউ আগেই দেশে ছেড়েছেন বলেও খবর আসে। এদেরই একজন আরাফাত। আজ আরাফাতের আটকের খবরে হিরো আলমও মিষ্টি নিয়ে প্রথমে গুলশানের পথে, পরে পথ থেকেই ডিবিতে আছেন শুনে সেদিকে রওনা হন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি নিজেই। জানতে চাওয়া হলে হিরো আলম বলেন, তাকে হত্যাচেষ্টায় আরাফাতের বিরুদ্ধে আগামীকাল মামলা করবেন তিনি।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আরাফতের বিষয়ে আপডেট জানতে মিডিয়া বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ওবায়দুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাদের কাছে আপাতত মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে আটকের কোনো তথ্য তার কাছে নেই।
মন্তব্য করুন