• ঢাকা শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

বাইডেন-মোদি ফোনালাপ নিয়ে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে নেই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

আরটিভি নিউজ

  ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১৩:০১
বাইডেন-মোদি ফোনালাপ নিয়ে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে নেই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ
ফাইল ছবি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গত সোমবার ফোন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই ফোনালাপে ‘বাংলাদেশ’ প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয়েছে বলে নিজের এক্স হ্যান্ডলারে পোস্ট করেন নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ হয়েছে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে। কিন্তু, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের ওই ফোনালাপের বিষয়ে হোয়াইট হাউস যে বিবৃতি প্রচার করেছে তাতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে উল্লেখ নেই একটি কথাও।

সাধারণত শীর্ষ নেতাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়, তার প্রতিফলন ঘটে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে। ফলে সরকারি ভাষ্যে যেটা প্রকাশ করা হয়, সেটাকেই আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে ধরে নিতে হয়।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, মোদির সাম্প্রতিক পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সফর নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন বাইডেন। পাশাপাশি আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠক নিয়েও আলাপ করেছেন তিনি।

বিবৃতির তথ্য অনুযায়ী, পোল্যান্ড ও ইউক্রেনে ঐতিহাসিক সফরের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন বাইডেন। কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রী এমন সফর করেছেন। শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা, জ্বালানি খাতসহ ইউক্রেনের জন্য চলমান মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে নরেন্দ্র মোদির দেওয়া বার্তার প্রশংসা করেছেন জো বাইডেন। একইসঙ্গে জাতিসংঘ সনদের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য অব্যাহত সমর্থনের বিষয়ে ফোনালাপে একে অপরকে প্রতিশ্রুতি দেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। একইসঙ্গে তারা ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি রক্ষায় ভূমিকা রাখতে কোয়াডের মতো আঞ্চলিক জোটের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করতে তাদের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির ওপরও জোর দিয়েছেন।

এর আগে বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি তার এক্স হ্যান্ডলারে লিখেছেন, বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও তারা আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর তারা জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তাদের।

অন্যদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুই রাষ্ট্রপ্রধানই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে অভিন্ন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং হিন্দু সম্প্রদায়সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন তারা।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের অবসানের পর যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে অনিবার্য পরিণতি হিসেবে দেখছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতায় আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে ভারত এ পরিবর্তন স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনি। বাংলাদেশ ইস্যুতে দুদেশের রাজনৈতিক পর্যায়ে এই মতপার্থক্যই ফুটে উঠেছে তাদের সাম্প্রতিক বিবৃতির ভিন্নতার মধ্য দিয়ে।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সাফজয়ীদের এক কোটি টাকা দিবে বিওএ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
আর্জেন্টিনার নতুন জার্সির বিজ্ঞাপনে জায়গা পেল বাংলাদেশ
বাংলাদেশের দুটি কিডনিই খেয়ে ফেলেছে বিগত সরকার: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ