• ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক আইজিপি শহীদুল

আরটিভি নিউজ

  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:০৯
ফাইল ছবি

কোটা আন্দোলনের সময় ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার একটি আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রিমান্ডে আন্দোলন দমনের সময়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন শহীদুল হক।

জিজ্ঞাসাবাদে অংশ নেওয়া তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের নামে নিপীড়ন, নির্যাতন, গ্রেপ্তার ও গণহত্যায় পুলিশকে উসকানিমূলক পরামর্শ দিয়েছেন শহীদুল হক। আন্দোলন দমনের তথ্য ও প্রমাণের এসব ভিডিও শহীদুল হককে দেখানো হলে এর কোনো কিছুই অস্বীকার করেননি তিনি। পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তার দাবি, পরিস্থিতির কারণে তিনি এসব করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে সাবেক পুলিশ কর্তাদের ভোকাল হতে বলা হয়েছিল।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট ও জিজ্ঞাসাবাদে জড়িত এক ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারের সময় শহীদুল হকের বাসা থেকে তারই লেখা ‘পুলিশ জীবনের স্মৃতি: স্বৈরাচার পতন থেকে জঙ্গি দমন’ নামে একটি বই নিয়ে আসি। সেই বইটি ঘেঁটেছি। যে কেউ বইটি পড়লে তাকে আত্ম-স্বীকৃত অপরাধী পুলিশ কর্মকর্তা ভাববেন।’

গোয়েন্দা রমনা বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট সকালে শহীদুল হকের মোবাইল নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে দুবার বার্তা দেওয়া হয়। সেদিন আন্দোলন দমনে সক্রিয় ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে বার্তা দুটি পাঠানো হয়েছিল। ওই কর্মকর্তাও বর্তমানে হেফাজতে রয়েছেন। উত্তরা থেকে গণভবন অভিমুখে আসা গণমিছিল রুখে দিতে ‘ডিসপাচ’ করার বার্তা দিয়েছিলেন শহীদুল হক। এটা যদি সত্যি তিনিই করে থাকেন, তাহলে সেটা হবে ভয়াবহ উসকানি। ওই বার্তাটি তথ্যপ্রযুক্তিগত সহায়তায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। কাকে কাকে এমন ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছি, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হবে।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি, দমন-পীড়ন ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে শহীদুল হকের ভূমিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ম অনুযায়ী আদালতকে জানানো হবে। প্রয়োজনে আবারও তার রিমান্ড চাওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৪ সেপ্টেম্বর রিমান্ডের অনুমতি চেয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠান। রিমান্ড শেষে শহীদুল হককে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আরটিভি/এসএপি-টি

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যুবদল নেতা হত্যা, আ.লীগ নেতা ৫ দিনের রিমান্ডে
মার্কিন আদালতে ভারতীয় ধনকুবের আদানির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
দাউদকান্দির পৌর বাজারে বিভিন্ন ফার্মেসিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
ব্যারিস্টার সুমন দুই দিনের রিমান্ডে