• ঢাকা শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
logo

সাবেক রেলমন্ত্রী ও আইজিপিসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আরটিভি নিউজ

  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:১০
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ৮ বাসযাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও বেনজীর আহমেদসহ ১৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন আইকন বাসের মালিক আবুল খায়ের। এতে ১৩০ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ নম্বর আমলি আদালতে এই মামলা করা হয়েছে। আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার জন্য চৌদ্দগ্রাম থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরে গভীর রাতে আইকন পরিবহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে আট যাত্রী পুড়ে মারা যান।

বাস মালিক আবুল খায়ের জানান, চালক ও তার সহকারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। এ ঘটনায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বাসমালিককে ডেকে নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় মুজিবুল হক তাকে থাপ্পড় মেরে বলেন, এই লাইনে কীভাবে বাস চালাস তা দেখে নেবো। পরে তার লিজ নেওয়া ৫টি বাস তারা নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ওই বাসমালিক ১০ বছর পালিয়ে ছিলেন। তিনি দোষীদের বিচার চান।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক র‌্যাবপ্রধান ও আইজিপি বেনজীর আহমেদ, কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ আবিদ হোসেন, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান, চৌদ্দগ্রাম থানার সাবেক ওসি উত্তম চক্রবর্তী, সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে খালেদা জিয়াসহ বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মুন্সীগঞ্জে দিনমজুর হত্যায় সাবেক ২ এমপির বিরুদ্ধে মামলা
পুলিশ নয়, মামলা করছে জনগণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফ্রান্সে ধর্ষণ মামলা, আদালতে ‘স্বঘোষিত’ ধর্ষক
কাপাসিয়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী রিমির বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা