সামিট-আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের তথ্য চায় পর্যালোচনা কমিটি
জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি (এনআরসি) ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কিত নথি এবং তথ্য সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এ বিষয়টি নিয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি দেয়। এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ ভবনে এনআরসির দ্বিতীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দরপত্র ছাড়া চুক্তি করতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১) করেছিল। এ আইনের অধীন নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে যাওয়া যাবে না। এ কারণে এটি ‘দায়মুক্তি আইন’ হিসেবে পরিচিতি পায়। এ আইনের অধীন করা ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি পর্যালোচনা করতে তথ্য চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ (সংশোধিত ২০২১) এর অধীনে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করার জন্য সরকার এনআরসি গঠন করে।
এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে আছে আলোচিত ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় নির্মিত আদানি গ্রুপের ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ ছাড়া আছে সামিট গ্রুপের মেঘনাঘাট ৫৮৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্যারামাউন্ট-বাংলা ট্র্যাকের বাঘাবাড়ি ২০০ মেগাওয়াট ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, ইউনাইটেড গ্রুপের পটুয়াখালী ১৫০ মেগাওয়াট ফার্নেস তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, মোংলা ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, মিডল্যান্ড গ্রুপের আশুগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট ফার্নেস তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, ডরিন গ্রুপের মানিকগঞ্জ ১৬২ মেগাওয়াট ফার্নেস তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, সামিটের কড্ডা ৩০০ মেগাওয়াট ফার্নেস তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, বেক্সিমকো গ্রুপের সুন্দরগঞ্জ ২০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র, ইন্ট্রাকো গ্রুপের লালমনিরহাট ৩০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের যৌথ উদ্যোগে ময়মনসিংহের সুতিয়াখালী ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র।
আরটিভি/এএইচ
মন্তব্য করুন