শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেছে জাতিসংঘ

আরটিভি নিউজ

বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪ , ০৫:০৩ পিএম


শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেছে জাতিসংঘ
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেছে জাতিসংঘ।

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন এবং জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় রাজনৈতিক ও শান্তি বিনির্মাণবিষয়ক বিভাগের সহকারী মহাসচিব খালেদ খিয়ারীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ প্রশংসা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে খিয়ারি শান্তিরক্ষায় গাম্বিয়া ও পেরুর মতো অন্যান্য দেশের সহযোগিতা সম্প্রসারণে বাংলাদেশের নেতৃত্বের স্বীকৃতি দেন।

পররাষ্ট্র সচিব বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে সহকারী মহাসচিবকে অবহিত করেন এবং এ গুরুত্বপূর্ণ পথে বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের সহায়তা কামনা করেন।

উভয় পক্ষই বিস্তৃত ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বের কথা তুলে ধরেন। তারা মানবাধিকার, উন্নয়ন ও আইনের শাসনের ক্ষেত্রে জোরদার সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া বৈঠকে জাতিসংঘও বাংলাদেশের সঙ্গে শান্তি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এর আগে, পররাষ্ট্র সচিব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনের দ্বিতীয় ও প্রথম কমিটিতে বক্তব্য দেন। জসিম তার ভাষণে ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লব’-এর চেতনায় একটি শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিস্থাপক বাংলাদেশ বাস্তবায়নে জাতিসংঘ এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

দ্বিতীয় কমিটিতে পররাষ্ট্র সচিব সমসাময়িক চ্যালেঞ্জগুলো যেমন দ্বন্দ্ব, আর্থিক সংকট, মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান, পরিবেশগত অবক্ষয় ও জীববৈচিত্রের ক্ষতি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বিশ্বে প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপগুলো প্রচার করেন।

বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করার জন্য তিনি শক্তিশালী জলবায়ু ব্যবস্থা ও অবৈধ আর্থিক প্রবাহ মোকাবিলা নিশ্চিত করে বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কারের আহ্বান জানান।

তিনি যুবচালিত সমাধানের জন্য তরুণদের মানসম্পন্ন শিক্ষা ও ডিজিটাল দক্ষতার ক্ষেত্রে নিজেদের প্রস্তুত করার এবং এর স্থায়িত্বের জন্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি হিসেবে শান্তি বজায় রাখার ওপর জোর দেন।

প্রথম কমিটিতে পররাষ্ট্র সচিব সকল রাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র সম্পূর্ণ নির্মূল করার জন্য এবং যুদ্ধ ও সহিংসতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে শান্তির সংস্কৃতিকে উন্নীত করার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। সূত্র: বাসস

আরটিভি/আরএ/এসএ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission