পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৮০ কর্মকর্তা বদলি
মন্তব্য করুন
স্বামী-সন্তানসহ হেনরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী-সন্তানসহ সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী প্রসিকিউটর (সার্বিক) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, জান্নাত আরা হেনরী, তার স্বামী শামীম তালুকদার ও মেয়ে মুনতাহা রিদায়ী লামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আদালতে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ।
আবেদনে বলা হয়, জান্নাত আরা হেনরী তার পোষ্যরা জ্ঞাত আয়বর্হিভূত টাকা বা অন্য স্থাবর, অস্থাবর সম্পদসহ আত্মগোপন করেছেন। অনুসন্ধানকালে পাওয়া তথ্যাদি এবং সংশ্লিষ্টরা গুরুত্বপূর্ণ আলামত এবং অবৈধ টাকাসহ যেকোনও মুহূর্তে দেশত্যাগ করতে পারে। এজন্য তাদের বিদেশ যাওয়া থামানো আবশ্যক।
এ ছাড়া একইদিনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিটের সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীরকেও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
দুদকের সহকারী পরিচালক শাহ আলম শেখের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
ঢাবিতে তোফাজ্জল হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন গ্রেপ্তার ৬ শিক্ষার্থী
চোর সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ছয় শিক্ষার্থী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন এই ছয় শিক্ষার্থীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে রাত ৯টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়া ছয় শিক্ষার্থী হলেন, মো. জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, মো. মোত্তাকিন সাকিন, আল হুসাইন সাজ্জাদ, আহসানউল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম। এরা সবাই ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ছয় শিক্ষার্থীর জবানবন্দি অনুযায়ী তোফাজ্জল হোসেন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন ১৫ থেকে ২০ জন। তারা সবার নাম প্রকাশ করেছেন। শিক্ষার্থীরা বলেছেন, চোর সন্দেহে তিন দফায় তোফাজ্জলকে মারধর করা হয়। তারা বলেছেন, ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে ছাত্রদের ছয়টি মুঠোফোন ও মানিব্যাগ চুরি হয়েছিল। তোফাজ্জল সেদিন রাত ৮টার দিকে হলের ফটক দিয়ে মাঠের ভেতরে যান। তখন কয়েকজন শিক্ষার্থী চোর সন্দেহে তাকে আটক করে হলের অতিথিকক্ষে নিয়ে যান। পরে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাকে স্টাম্প দিয়ে মারধর করা হয়। এরপর তাকে হলের ক্যানটিনে নিয়ে রাতের খাবার খাওয়ানো হয়। খাওয়া শেষে আবার তাকে হলের অতিথিকক্ষে এনে ব্যাপক মারধর করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তিন ধাপে ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী তোফাজ্জলকে মারধরে যুক্ত হয়।
আসামিরা বলেন, সেদিন অতিথিকক্ষে মারধরের পর রাত ১২টার দিকে হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষক তোফাজ্জলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তারা জানতে পারেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোফাজ্জল মারা গেছেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। পরে বিকেলে ঢাবির প্রক্টরিয়াল টিম ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় অভিযুক্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে থাকলে কিছু ছাত্র তাকে আটক করেন। প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্টরুমে নিয়ে তিনি মোবাইল চুরি করেছেন অভিযোগ তুলে এলোপাতাড়ি চর-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসা করলে তার নাম তোফাজ্জল বলে জানান। মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে ফজলুল হক মুসলিম হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাওয়ানো হয়। পরে ফজলুল হক মুসলিম হলের দক্ষিণ ভবনে গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে পেছনে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তোফাজ্জল অচেতন হয়ে পড়েন।
বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষককে জানালে তাদের সহায়তায় তোফাজ্জলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ১২টা ৪৫ মিনিটের সময় তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরটিভি/এমএ/এআর
অবশেষে ভারতে যাচ্ছে ৩ হাজার টন ইলিশ
অবশেষে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, রপ্তানিকারকদের আবেদনের বিপরীতে নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলো। সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ দুপুর ১২টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর (উপসচিব, রপ্তানি-২ শাখা, কক্ষ নং ১২৭, ভবন নং ৩, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়) আবেদন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। উল্লিখিত সময়সীমার পর প্রাপ্ত আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
যারা ইতোমধ্যে আবেদন করেছেন তাদের নতুন করে আবেদনের প্রয়োজন নেই।
এর আগে দেশে সরবরাহ বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার এ বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এমন অবস্থায় ভারতের পক্ষ থেকে ইলিশ পাঠানোর আবদার করে বাংলাদেশের কাছে চিঠি পাঠানোর খবর পাওয়া গেছে।
এক খবরে হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, গত ৫ বছর ধরে ইলিশ আমদানি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। এবারও সেই রীতি মেনে ভারতে ইলিশ পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে আবেদন করেছে ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন।
আরটিভি/এফআই/এসএ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা নিয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসন সচিব
বেশ কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদও প্রচার করা হয়েছে। এবার এমন খবরে কান না দেওয়ার বার্তা দিয়ে বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মো. মোখলেসউর রহমান।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা হচ্ছে, এটা নিয়ে একটা দরখাস্ত এসেছে, আপনারা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন’, এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘আমার একটাই উত্তর গুজবে কান দেবেন না। আমি এক কথায় বলে দিলাম, গুজবে কান দেবেন না।’
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। এ অবস্থার মধ্যেই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স ৬৫ বছর করার বিষয়ে সম্প্রতি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি চিঠি দেওয়া হয়। তবে বিষয়টি যেহেতু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধির আওতার মধ্যে পড়ে, তাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দাবি-সংক্রান্ত সেই চিঠি বা প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আড়াই মাস পর আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, বেরিয়ে এলো যে তথ্য
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালেয়ের ছাত্র আবু সাঈদের শরীরে শটগানের গুলির চিহ্ন মিলেছে। এ ছাড়া তার মাথায়ও বড় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আবু সাঈদের মৃত্যুর আড়াই মাস পর পাওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে, গত ১৬ জুলাই রাত ১২টায় আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তার মুত্যুকে হোমিসাইডাল বা হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবু সাঈদের কানের ওপরের দিকে মাথার খুলিতে দৈর্ঘ্যে ৩ ইঞ্চি ও প্রস্থে দেড় ইঞ্চি আয়তনের গর্ত ছিল, যেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং রক্ত জমাট বাঁধা ছিল। এ ছাড়া বুক, পেট ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ছোট ছোট রাবার বুলেটের গর্ত ছিল। সেখান থেকেও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। মাথার আঘাত, শরীরের রক্তক্ষরণের কারণে আবু সাঈদ শকে চলে যায়। এতে তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের তাক করা অস্ত্রের বিপরীতে বুক পেতে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবু সাঈদ। এ সময় পুলিশ সদস্যরা হঠাৎ তার দিকে রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে। তখন সাঈদের হাতে একটি লাঠি ছিল, যা দিয়ে তিনি গুলি ঠেকানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশের গুলির সামনে তার বুক পেতে দাঁড়িয়ে থাকার ওই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সে সময় দেশব্যাপী তুমুল আলোড়ন শুরু হয় এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলন আরও গতি পায়।
বাড়ছে শ্রমিকদের মজুরি, কাল সব গার্মেন্টস খুলবে: উপদেষ্টা আসিফ
শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, পোশাক কারখানার শ্রমিকদের হাজিরা-বোনাস বাড়ানোসহ তাদের ১৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে মালিকপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বিজিএমইএ ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের বৈঠকে এসব বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে। একই বৈঠকে সরকারের চারজন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টাদের মধ্যে ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
পরে শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বৈঠকে হওয়া সিদ্ধান্তগুলো জানান সাংবাদিকদের কাছে।
তিনি বলেন, সব পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বিদ্যমান হাজিরা বোনাস ২২৫ টাকা বাড়ছে। সেই সঙ্গে সরকারঘোষিত নিম্নতম মজুরি আগামী অক্টোবরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে সব কারখানা। এ ছাড়া ১০ অক্টোবরের মধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সব বকেয়া মজুরি পরিশোধ করে দেবে।
এর আগে শ্রমিকরা ১৮ দফা দাবি জানায় সরকারের কাছে।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
মজুরি বোর্ড পুনর্গঠনপূর্বক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। যেসব কারখানায় ২০২৩ সালে সরকারঘোষিত ন্যূনতম মজুরি এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি, তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। শ্রম আইন সংশোধন করতে হবে। কোনো শ্রমিকের চাকরি পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পর চাকরি থেকে অব্যাহতি দিলে অথবা চাকরিচ্যুত হলে একটি বেসিকের সমান অর্থ দিতে হবে ও এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক শ্রম আইনের ২৭ ধারাসহ অন্য ধারাসমূহ সংশোধন করতে হবে। সব ধরনের বকেয়া মজুরি অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে, হাজিরা বোনাস (২২৫ টাকা), টিফিন বিল (৫০ টাকা), নাইট বিল (১০০ টাকা) সব কারখানায় সমান হারে বাড়াতে হবে। সব কারখানায় প্রভিডেন্ট ফান্ড ব্যবস্থা চালু করতে হবে। বেতনের বিপরীতে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ন্যূনতম ১০ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে।
শ্রমিকদের জন্য রেশনিংব্যবস্থা চালু করতে হবে।বিজিএমইএ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত বায়োমেট্রিক ব্ল্যাকলিস্টিং করা যাবে না, বায়োমেট্রিক তালিকা সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সব ধরনের হয়রানিমূলক এবং রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ঝুট ব্যবসার আধিপত্য বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, প্রয়োজনে এ বিষয়ে আইন করতে হবে কলকারখানায় বৈষম্যবিহীন নিয়োগ দিতে হবে। জুলাই বিপ্লবে শহীদ এবং আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। রানা প্লাজা এবং তাজরীন ফ্যাশন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের কল্যাণে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। শ্রম আইন অনুযায়ী সব কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করতে হবে।অন্যায্যভাবে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে। নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ ১২০ দিন নির্ধারণ করতে হবে।
আরটিভি/এএইচ/এসএ
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মামলা
ইসলাম ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে মোকতার হোসেন (৫২) নামে এক ব্যক্তির নামে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে জহিরুল কবির চৌধুরীর আদালতে মামলাটি করেন হাফেজ মো.সাইফুদ্দিন নামে এক ব্যক্তি।
অভিযুক্ত ব্যক্তি ফটিকছড়ি থানার পশ্চিম নানুপুর জি এম চৌধুরী বাড়ির মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন আহামদ খাঁন রনি বলেন, আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট মো. হাসান ফেসবুক আইডিতে ৭ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের একটি বক্তব্য দেন। সেখানে ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানদের উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এ ছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তি পবিত্র কোরআন শরিফকে উদ্দেশ্য করে নিজের ফেসবুক ভিডিওর মধ্যে বক্তব্য প্রদান, প্রকাশ ও প্রচার করেন। যার মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের সম্মানহানি করা হয়েছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির উসকানি প্রদান করেছেন মোকতার হোসেন নামে ওই ব্যক্তি। ইসলাম ও ধর্মপ্রিয় মানুষের মধ্যে ধর্মীয় আঘাতপূর্বক মুসলিম সম্প্রদায়কে আক্রমণাত্মক উক্তি করেছেন তিনি।
আরটিভি/এসএইচএম