প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার ও সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা পামপোলিনি।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গিয়ে তারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা পামপোলিনি এবং বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান মাইকেল মিলার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
আরটিভি/এমএ-টি
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা কোথায়, এবার জানালেন ভারতীয় কর্মকর্তারা
ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ত্যাগ করা শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান করা নিয়ে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ দাবি তুলছেন, তিনি ভারত ছেড়ে গেছেন। শেখ হাসিনার ভারত ছাড়ার ইস্যুতে এবার মুখ খুলেছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।
অনেকেই বলছেন তিনি দিল্লি ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে চলে গেছেন, এ জাতীয় সব খবরকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা।
দিল্লির সাংবাদিক শুভজ্যোতি ঘোষ জানান, তিনি গত ৪৮ ঘণ্টায় বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তারা প্রত্যেকে নিশ্চিত করেছেন ‘শেখ হাসিনা এখানে গত সপ্তাহে যেভাবে ছিলেন, এই সপ্তাহেও ঠিক একইভাবেই আছেন!
শেখ হাসিনা দিল্লিতে ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন তা ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও জানায়নি। তবে আগের স্থান যে গত কয়েক দিনের ভেতরে মোটেও পাল্টায়নি, সে কথাও নিশ্চিত করেছে।
দেশটির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এ-ও বলেছেন, যে পরিস্থিতিতেই আসুন না কেন, শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে ভারতের সম্মানিত অতিথি। তিনি যদি পরে তৃতীয় কোনো দেশে যানও, সেটা নিয়ে আমাদের লুকোচুরি করার তো কোনো কারণ নেই!
তাই শেখ হাসিনা গোপনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো কোনো দেশে পাড়ি দিয়েছেন, এসব ‘খবর’কে উপেক্ষা করতেই পরামর্শ দিচ্ছেন কর্মকর্তারা।
শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে গত কয়েক দিনে নানান আলোচনা চলছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা বক্তব্যের বিষয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে।
জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ওনার অবস্থান সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা দিল্লিতে খোঁজ করেছি, আমিরাতেও খোঁজ করেছি, কনফারমেশন অফিসিয়ালি কেউ দিতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, আপনারাও যেমন দেখেছেন, আমরাও দেখেছি উনি আজমানে সম্ভবত গেছেন। কিন্তু এটা রিকনফার্ম করার চেষ্টা করেও আমরা সফল হইনি। খবর: বিবিসি
আরটিভি/এএইচ
‘মানুষ যখন পশু হয়ে যায় তখন তার জীবন কেড়ে নেওয়াই শ্রেয়’
রাজধানীর বাড্ডায় সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করতে খোঁজখবর নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় এক আসামির মৃত্যুদণ্ড ও চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ‘একজন মানুষ যখন পশু হয়ে যায়, তখন তার জীবন কেড়ে নেওয়াই শ্রেয়।’
বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-৬-এর বিচারক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রায় দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘গণপিটুনির নামে মধ্যযুগীয় বর্বরতায় মানুষ হত্যার লাইসেন্স দেওয়া হলে তা এ সমাজের যেকোনো মানুষের জন্য আতঙ্ক ও অনিরাপত্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটবে এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।’
জানা গেছে, আসামি ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড এবং আসামি রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজাদ মণ্ডল, কামাল হোসেন ও আসাদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ৮ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু। ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই জনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। এরপর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।
আরটিভি/এসএপি-টি
আমাকে মোয়া বানানো হচ্ছে: সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির নিকট পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এরপর বঙ্গভবন থেকেই হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন। কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করতে গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে সমন্বয়কদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাবার ছবি এবং তাদের দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের বিবৃতি দেওয়ার ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি।
তার এই কর্মকাণ্ডকে জাতির সঙ্গে মশকরা বলেও মন্তব্য করেন উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের এমন মন্তব্যের পরও ওই ছয় সমন্বয়কারীকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয় প্রায় এক সপ্তাহ। এর মাঝে তার একটি আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
পরে ১ আগস্ট তাকে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ডিএমপির ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস শাখায় পদায়ন করা হয়। নতুন অফিসে সবশেষ ২ আগস্ট দায়িত্ব পালন করেছিলেন হারুন। এরপর থেকেই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। তার অবস্থান নিয়ে এক রকমের ধোঁয়াশ রয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) অজ্ঞাত স্থান থেকেই ইউটিউব চ্যানেল নাগরিক টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন হারুন অর রশিদ। সেখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান, আন্দোলন দমনে তার ভূমিকাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। দাবি করেছেন- তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাকে মোয়া বানানো হচ্ছে।
হারুন-অর-রশীদ বলেন, আমাকে ঘিরে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। তখনো আমি চুপ ছিলাম। সরকার যখন বলল, সবাইকে কাজে যোগ দিতে। তখন আমি গত ৮ আগস্ট ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে তখনই যোগ দিতে নিষেধ করেন। আমাকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলেন। আমি যোগদান করতে গেছি। কিন্তু আমি যোগ দিতে পারিনি। দুই দিন পর দেখি আমার নামে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, কমিশনার ও আমাকে হুকুমের আসামি করা হয়। তখন আমি অবাক হলাম।
আমি তো ডিবিতে কাজ করি। ডিবির কাজ হলো মামলা তদন্ত করা। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্দেশ দিলে আমরা গ্রেপ্তার করি। মোহাম্মদপুরে তো আমি গিয়ে মারামারি করিনি, এটা তো আমার কাজ না। অতিরিক্ত কমিশনার কি মারামারি করতে যায়? আর ডিএমপিতে কমিশনারের পরে ৬ জন অতিরিক্ত কমিশনার। আমি হলাম ৬ নম্বর কমিশনার। সেখানে আমার নামে যখন মামলা হলো তখন তো একটু…। আবার বলা হলো মামলা হলেও সমস্যা নেই। ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকলে গ্রেপ্তার করা হবে না।
আমি মনে করলাম ভালো কথা। ভাবলাম জয়েন করব। পরের দিন দেখলাম একজন উপদেষ্টা বললেন, যেসব পুলিশ কর্মকর্তা জয়েন করেননি আপনারা তাদের ধরে নিয়ে আসেন। আমি তখন আরও অবাক হলাম। আমি যদি চাকরিতে জয়েন না করি তাহলে প্রসিডিং করবে। আর যোগ দিলে আমাকে দিয়ে জোর করে চাকরি করাবেন। এটা শোনার পরে আমার মনে হলো রিস্ক। মানে আমার লাইফ ঝুঁকির মধ্যে। এখন মানুষকে ধরে যেভাবে পেটানো, ডিম মারা হচ্ছে। যদি আমাকে…। আগে তো বাঁচতে হবে। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে একটু চুপ আছি।
পুলিশ সদর দপ্তরের দেয়াল টপকে পালাতে গিয়ে ব্যথা পাওয়ার বিষয়ে সাবেক ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, আমি পুলিশ সদর দপ্তরে যাইনি।
সরকারপ্রধান (শেখ হাসিনা) সবাইকে বিপদে ফেলে চলে গেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বলেন, এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। আমি ছোট মানুষ। আমি ডিএমপির প্রধানও না, পুলিশের প্রধান না। আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাকে মোয়া বানানো হচ্ছে। আমি কেন আলোচিত-এর একটাই কারণ যেখানে অপরাধ হয়েছে সেখানে আমি মানুষকে সেবা দিয়েছি। মানুষ যখন যে সমস্যায় পড়েছে তারা থানায় না গিয়ে ডিবিতে আসত। ডিবিতে আমার চাকরিজীবনে মানুষের উপকার করেছি। কারো ক্ষতি করিনি।
দেশবাসী কেন আপনাকে ঘৃণা করে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ১২ বছর চাকরি করেছি। আমার কোনো অন্যায় থাকলে আপনি আমাকে ছাড়তেন? তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? এখন আমি একটু অড পজিশনে পড়ে গিয়েছি, এখন যদি বলে হারুন খুব খারাপ... তাহলে আমি কী খারাপটা করেছি বলেন। আমি কার ক্ষতি করেছি? আমার কাছে যারা-যেসকল আসামিরা ছিল... এমনও বড় বড় বিএনপি নেতারা আমার কাছে গিয়েছিল.. তারা আমাকে বলতো আমার ফ্যামিলি প্রবলেম আছে, আমার ফ্যামিলি প্রবলেম সলভ করে দিও। এসব বিষয়ে আমি আরেকদিন কথা বলবো।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে জাতীয় সংসদের সামনে এক মিছিলে তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুককে মারধরের ঘটনায় প্রথম আলোচনায় আসেন হারুন। এরপর থেকে বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে তার নাম আসে। ডিবিতে মানুষকে তুলে নেওয়া, বিরোধী দলের আন্দোলনে ‘বোমা উদ্ধারের’ প্রহসন, হেফাজতে নির্যাতন, আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়—ইত্যাদি অভিযোগে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন।
আরটিভি/এএএ
নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে যা জানাল তিতাস
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কিছু গণমাধ্যমে নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়ার যে খবর ছড়িয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক আবাসিক বা বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ বা লোড বৃদ্ধির সংযোগ বন্ধ রয়েছে। কিছু গণমাধ্যম বা সোস্যাল মিডিয়ায় আবাসিকে, বাসা বাড়িতে নতুন বা লোড বৃদ্ধির সংযোগ দেওয়ার প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ গুজব ও ভিত্তিহীন।
কিছু প্রতারক চক্র জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজনে গ্যাস বিতরণ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছে তিতাস।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর ২০১৩ সালের শেষের দিকে আবারও সংযোগ চালু করা হয়। তবে ২০১৪ সালের পর আবার জ্বালানি বিভাগ থেকে বিতরণ কোম্পানিকে আবাসিকের নতুন আবেদন নিতে নিষেধ করা হয়। সবশেষ ২০১৯ সালে লিখিতভাবে আবাসিক সংযোগ স্থগিত রাখার আদেশ জারি করা হয়।
আরটিভি/এফএ/এআর
৬৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাস করেননি কেউ
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী।
তবে ৬৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কেউ পাস করতে পারেননি।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ওয়েবসাইটে একযোগে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সব বোর্ডের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন। গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী।
গত বছর শূন্যপাস করা কলেজের সংখ্যা ছিল ৪২টি। সেই হিসাবে এবার শূন্য পাস কলেজের সংখ্যা ২৩টি বেড়েছে।
এদিকে, চলতি বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার কিছুটা কমলেও শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, এ বছর দেশের ১ হাজার ৩৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন।
যদিও গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ৯৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছিলেন। সেই হিসাবে এবার শতভাগ পাস করা কলেজের সংখ্যা বেড়েছে ৪৩৫টি।
আরটিভি/এআর-টি
ডিমের নতুন দাম নির্ধারণ
উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের দাম হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সে হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে খরচ হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ডিমের নির্ধারিত দাম বাস্তবায়ন করতে বাজারে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সে কারণে তেজগাঁও আড়তের ব্যবসায়ীরা ডিম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।
অবশ্য, সাম্প্রতিক অভিযানে ডিমের দামে তেমন একটা প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। বরং তেজগাঁও আড়তের মতো কিছু কিছু পাইকারি বাজারে ডিম বিক্রি বন্ধ হয়ে গছে। অনেক জায়গায় ডিম বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ঘাটতি তৈরি হয়েছে সরবরাহে।
রাজধানীর কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফার্মের মুরগির লাল ও সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে। এছাড়া পাড়ামহল্লায় ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
আরটিভি/এসএইচএম-টি
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টা ৪৩ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪.১।
ভলকানো ডিসকভারি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৪১ কিলোমিটার দক্ষিণে। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে এ কম্পন অনুভূত হয়েছে। এ অঞ্চলগুলোতেও ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪.১।
সবশেষ গত ৬ সেপ্টেম্বর রংপুর ও আশপাশের এলাকায় মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ২৮ মিনিটে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়েছিল। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল এ ভূমিকম্প।
গত ২৮ এপ্রিল (রোববার) বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। রাত ৮টা ৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪। হালকা ভূমিকম্প হওয়ায় সেসময় কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২ জুন মিয়ানমারে ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত করে, যা অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলাতেও। ঢাকা থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ৪৪২ কিলোমিটার দূরে। ৫৯ সেকেন্ড এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
তার আগে ২০ এপ্রিল চট্টগ্রামে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ৩.৭ মাত্রার একটি মাঝারি ভূমিকম্প বন্দরনগরী থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানে। মৃদু ভূমিকম্পটির অবস্থান ছিল ভারত সীমান্ত থেকে ৩৪ কিলোমিটার ও মিয়ানমার থেকে ৬৬ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
এছাড়া গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ৭ মিনিটে আরেকটি মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চুয়াডাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান ওই সময় জানান, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৬। এর উৎপত্তিস্থল পাবনা জেলার আটঘরিয়া। ওই ভূমিকম্পে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি।
আরটিভি/এসএইচএম