পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
বাংলাদেশ পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও আটজন সহকারী পুলিশ সুপারসহ মোট ৯ জন কর্মকর্তাকে একযোগে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
বুধবার (৬ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত পৃথক নয়টি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনগুলোতে বলা হয়, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সদস্যদের সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো। তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি পাবেন।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন—
এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভূঁইয়া মাহবুব হাসান, সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান ঝন্টু, সিআইডির (এপিবিএনে বদলির আদেশপ্রাপ্ত) মো. জিয়াউর রহমান, এসবির সহকারী পুলিশ সুপার আবু মো. ফজলুল করিম, শিল্পাঞ্চল পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার রনজিত কুমার বড়ুয়া, বেতবুনিয়া পিএসটিএসের সহকারী পুলিশ সুপার অপ্পেলা রাজু নাহা, সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. আক্তারুজ্জামান, সিলেট এসএমপির সহকারী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ও মাধবপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আজিজুর রহমান সরকার।
এর আগে, গত ১৩ আগস্ট পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম ও সদ্য সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। এর এক সপ্তাহ পর (২১ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলাম, মো. আনোয়ার হোসেন ও সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। এরপর শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাহাবুবর রহমান, সদ্য সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া ও পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্রকেও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।
এ ছাড়া গত ২৭ আগস্ট চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজি কৃষ্ণপদ রায়, খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. মোজাম্মেল হক ও খুলনা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলামকে অবসরে পাঠানো হয়।
এরপর গত ২ সেপ্টেম্বর ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মীর রেজাউল আলম, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার লুৎফুল কবির, সিআইডির ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন ও নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। এর তিন সপ্তাহ পর (২২ সেপ্টেম্বর) রেলওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, শিল্পাঞ্চল পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এ কে এম হাফিজ আক্তার, ঢাকা পুলিশ টেলিকমের উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বশির আহম্মদ, আরআরএফের পুলিশ সুপার (পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্তির আদেশপ্রাপ্ত) মো. মীজানুর রহমান, এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম ও ডিএমপির সহকারী পুলিশ সুপার মো. দাদন ফকিরকে অবসরে পাঠায় সরকার। এর পরদিনই পুলিশের পরিদর্শক পদমর্যাদার পাঁচ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তারা হলেন— বান্দরবান ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান, সিআইডি ফেনীর মো. শাহজাহান, চট্টগ্রামের মির্জা মোহাম্মদ হাছান, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের মহসিনুল কাদির ও শেরপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের আনিচুর রহমান মোল্ল্যা।
সবশেষ গত ৯ অক্টোবর র্যাবের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ, হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান ও ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (অতিরিক্ত আইজিপি সুপারনিউমারারি) বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত ড. খ. মহিদ উদ্দিনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।
আরটিভি/আইএম/এসএ
মন্তব্য করুন