সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ
জাতীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলায় ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
রোববার (১৭ নভেম্বর) ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১২ নভেম্বর প্রসিকিউশনের আবেদনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জিয়াউল আহসানকে একদিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। সেদিন চিফ প্রসিকিউটর জানান, জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যায় জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য যাচাইয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই ছয়জন নিহত হন। ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন অজ্ঞাতনামা বেশ কিছুসংখ্যক লোকের নাম দিয়ে একটি মামলা করে নিউমার্কেট থানা-পুলিশ। ওই মামলায় (শাহজাহান আলী হত্যা মামলা) পুলিশ জিয়াউল আহসানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ পায়। এরই প্রেক্ষিতে সেনা হেফাজতে থাকা জিয়াউলকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।
জিয়াউল আহসান সবশেষ এনটিএমসির মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া জিয়াউল সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার ছিলেন। ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে তিনি র্যাব-২-এর উপঅধিনায়ক হন।
ওই বছরই তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন এবং র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পান। কর্নেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক করে তাকে র্যাবেই রেখে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে জিয়াউল আহসানকে পাঠানো হয় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালকের দায়িত্বে।
পরের বছরই এনটিএমসির পরিচালক করা হয় জিয়াউল আহসানকে। ২০২২ সালে সংস্থাটিতে মহাপরিচালক পদ সৃষ্টির পর তাকেই সংস্থাটির নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। রাজনৈতিক পালাবদলের পর সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে রদবদলের ধারাবাহিকতায় গত ৬ আগস্ট জিয়াউল আহসানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর ১৫ আগস্ট রাতে খিলক্ষেত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরটিভি/এফএ-টি
মন্তব্য করুন