কর্মসূচি দিলো ছাত্রশিবির
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহের অংশ হিসেবে দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহর পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই কর্মসূচি সফল করার জন্য ইসলামী ছাত্র শিবিরের সব স্তরের জনশক্তিসহ ছাত্রসমাজকে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
আরটিভি/এএ
মন্তব্য করুন
‘চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের বিবৃতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল’
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশ বলেছে, ‘চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের বিবৃতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল’
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিবৃতিতে দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখ করেছে যে শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করার পর থেকে তার গ্রেপ্তারকে কিছু মহল ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে। বাংলাদেশ সরকার বলতে চায়, এই ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু সত্যকে বিকৃত করে না বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি।
এর আগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার ও জামিন নাকচ করার বিষয়টি আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি। বাংলাদেশের হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর একাধিক হামলার পরে এ ঘটনা ঘটলো।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ঘটনার অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও একজন ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ চাপানো হয়েছে; যিনি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে ন্যায্য দাবিগুলো উপস্থাপন করেছিলেন। হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি বিবৃতি বাংলাদেশ সরকারের নজরে এসেছে।
ঢাকার ওই বিবৃতিতে বলা হয়, অত্যন্ত হতাশা এবং গভীর দুঃখের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখ করছে যে শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করার পর থেকে তার গ্রেপ্তারকে কিছু মহল ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে। বাংলাদেশ সরকার বলতে চায়, এই ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু সত্যকে বিকৃত করে না বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি।
ভারতের বিবৃতিটি সকল ধর্মের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান সম্প্রীতি এবং এই বিষয়ে সরকার ও জনগণের প্রতিশ্রুতি এবং প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে না বলেও মন্তব্য করে বাংলাদেশের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে জনগণের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চলে আসছিল তা সমাপ্ত করার বিষয়ে সরকারের যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা রয়েছে এবং সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুদের একই নজরে দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, ভারতের বিবৃতি সেটি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করে যে, প্রত্যেক বাংলাদেশির, তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, বজায় রাখা বা পালন করার বা বাধা ছাড়াই মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। সকল নাগরিকের, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের একটি দায়িত্ব। গত মাসে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালনের মাধ্যমে এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার আবারও বলতে চায় যে, দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং এটি বিচার বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করে না। প্রশ্নাধীন বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারও দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজ বিকেলে চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশ সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যেকোনো মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ বন্দরনগরীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
প্রসঙ্গত, চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন-৬ এর কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে তোলা হলে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন।
আরটিভি/কেএইচ
চিন্ময় কৃষ্ণ ও ইসকনের ১৬ সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দ
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী ও ইসকন বাংলাদেশের ১৬ জন সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে। বিএফআইইউ সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, হিসাব জব্দ হওয়া ব্যক্তিদের মালিকানায় থাকা ব্যবসায়িক সব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত থাকবে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবে না কেউ। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে।
যাদের হিসাব জব্দ করা হয়েছে
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ছাড়াও ইসকন বাংলাদেশের যে ১৬ সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দ হয়েছে তারা হলেন, কার্ত্তিক চন্দ্র দে, অনিক পাল, সরোজ রায়, সুশান্ত দাস, বিশ্ব কুমার সিংহ, চন্ডিদাস বালা, জয়দেব কর্মকার, লিপী রানী কর্মকার, সুধামা গৌর দাস, লক্ষণ কান্তি দাশ, প্রিয়তোষ দাশ, রূপন দাস, রূপন কুমার ধর, আশীষ পুরোহিত, জগদীশ চন্দ্র অধিকারী এবং সজল দাস।
লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালার সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে হিসাব স্থগিত করা ব্যক্তিদের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাঠানো নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যেসব হিসাব স্থগিত করা হয়েছে তাদের হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী যাবতীয় তথ্য চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে।
আরটিভি/এসএইচএম
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
বাংলাদেশে হিন্দুদের শত শত মন্দির ও প্রতীমা ভাঙচুর এবং নির্যাতনের খবর নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় যেভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে কথা বলতে এসে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি।
৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার সংবাদ প্রকাশের ধরন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর জসওয়াল বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্য সব সংখ্যালঘুর ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তাদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি মিডিয়ার অতিরঞ্জন হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমরা আবারও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় সব ধরনের ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
এরপর ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয় ইসকন প্রসঙ্গেও। রণধীর জসওয়ালের কাছে এক সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, বাংলাদেশ সরকার ইসকনকে ‘উগ্রবাদী সংগঠন’ আখ্যা দিয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার মত কী?
জবাবে তিনি বলেন, ইসকন বৈশ্বিকভাবে প্রখ্যাত সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত। তাদের সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের ভালো রেকর্ড রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আবারও বলব সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
এ ছাড়া বিতর্কিত হিন্দু পণ্ডিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রসঙ্গে রণধীর জসওয়াল বলেন, আমরা চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছি। আশা করি, তার বিরুদ্ধে যে আইনি প্রক্রিয়া চলছে, সেটি স্বচ্ছ এবং ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে হবে এবং তাদের যে আইনি অধিকার রয়েছে সেটি পুরোপুরিভাবে পাবে।
আরটিভি/এসএইচএম/এআর
চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে বিবৃতি
বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে বিবৃতি দিয়েছে সরকার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সংখ্যালঘু ইস্যু সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফোরামে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম।
বিবৃতিতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি উল্লেখ করেন, অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে আমরা লক্ষ করছি, কিছু বক্তা চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে তাকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি একজন মুসলিম আইনজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পরেও আমাদের সরকারের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ এবং সব ধর্মীয় নেতাদের সমর্থন শান্তি বজায় রাখতে ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সহায়তা করেছে। আমাদের সরকার সতর্ক রয়েছে এবং যেকোনও মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুণ্ন করার যেকোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে অবিলম্বে কাজ চালিয়ে যাবে।
তারেক মো. আরিফুল ইসলাম বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় সহিংসতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, গত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে সংঘটিত সহিংসতার মূলে ছিল রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কারণ, সাম্প্রদায়িক নয়। ওই সহিংসতা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্ট রাজনৈতিকভাবে অনুগত লোকদের প্রভাবিত করেছিল; তাদের প্রায় সবাই মুসলমান এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ছিল মাত্র কয়েকজন। সংখ্যালঘুদের ওপর কোনও উদ্দেশ্যমূলক আক্রমণ হয়নি। বরং জুলাই মাসে গণআন্দোলনের পর আমাদের দীর্ঘ ঐতিহ্যবাহী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুসরণ করে কীভাবে সমগ্র বাংলাদেশ তার সংখ্যালঘুদের রক্ষায় এগিয়ে এসেছিল, তা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে আমাদের সরকার সব ধর্মের মানুষের কাছ থেকে অপ্রতিরোধ্য এবং অভূতপূর্ব সমর্থন পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পুনর্ব্যক্ত করে যে, ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে প্রত্যেক বাংলাদেশির নিজ নিজ ধর্ম পালন বা স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল ভিত্তি। এটি আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব সংখ্যালঘু ধর্মীয় নেতাদের বারবার আশ্বস্ত করেছেন এবং সরকারের প্রথম ১০০ দিনে সেটি বারবার প্রমাণিত হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে দুজন উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে।
স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর প্রসঙ্গে বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের জনগণ যখন ধর্মীয় সম্প্রীতির গৌরবময় উদাহরণ স্থাপন করছিল, তখন আমরা সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিষয়ে অতিরঞ্জিত, ভিত্তিহীন ও ভুয়া খবর এবং স্বার্থান্বেষী মহলের ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া লক্ষ্য করেছি। আমরা এই ফোরামেও এটি দেখেছি। এই ধরনের অনেক অপপ্রচারকে বৈশ্বিক গণমাধ্যম উড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের সরকার বাস্তব পরিস্থিতি দেখতে বাংলাদেশ সফরে আসা বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
আরটিভি/কেএইচ/এএইচ
ডিসেম্বরে যেভাবে মিলতে পারে টানা ৪ দিন ছুটি
সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা ডিসেম্বর মাসে টানা চার দিন ছুটি পেতে চলেছেন। এজন্য সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে একদিন ছুটি ম্যানেজ করে নিতে হবে।
জানা গেছে, সাধারণ ছুটির মধ্যে ডিসেম্বরে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। সোমবার পড়ছে ১৬ ডিসেম্বর। তাই রোববার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ২৫ ডিসেম্বর বুধবার। তাই বৃহস্পতিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই টানা চার দিন ছুটি পেতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
আরটিভি/এসএপি/এস
যে সময়ে ইন্টারনেট ৩ ঘণ্টা থাকবে না
কক্সবাজারে অবস্থিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের (এসএমডব্লিউ-৪) রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য রোববার (১ ডিসেম্বর) রাতে ৩ ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, কক্সবাজারে স্থাপিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের (এসএমডব্লিউ-৪) চেন্নাই প্রান্তে চেন্নাই ল্যান্ডিং স্টেশনের নিকট এবং সিঙ্গাপুর প্রান্তে টুয়াস ল্যান্ডিং স্টেশনের নিকট কনসোর্টিয়াম কর্তৃক ক্যাবলের ত্রুটি নিরসনের লক্ষ্যে রোববার দিনগত রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
এ অবস্থায় এই সময়ে এসএমডব্লিউ-৪ এর মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে চেন্নাই রুটে এবং সিঙ্গাপুর রুটে যুক্ত সার্কিটগুলোর মাধ্যমে সেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসসিপিএলসি।
আরটিভি/আরএ/এআর
স্বামীর খালাসের রায় শুনে যা বললেন বাবরের স্ত্রী
বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় আজ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর এ রায়ে শুধু বিএনপি নয়, লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামানও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে ন্যায়বিচার পেয়েছি। এজন্য মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি শুকরিয়া জানাই, আলহামদুলিল্লাহ।
রোববার (১ ডিসেম্বর) মৃত্যুদণ্ড থেকে লুৎফুজ্জামান বাবরের খালাস পাওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।
তাহমিনা জামান আরও বলেন, এতদিন অপেক্ষা করা যে কি কষ্ট, তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই বলতে পারবেন। আদালত ন্যায়বিচার করেছেন।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশ গ্রেনেড হামলা মামলায় আপিল করে আজ খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মামলার সব আসামি। বেলা ১১টার দিকে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আরটিভি/আইএম/এআর