রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের চলমান নানান ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন। এ লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বসবেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, বুধবার তিনি সব রাজনৈতিক দল এবং পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বসবেন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সবার সঙ্গে সংলাপের আহ্বান করেছেন। তিনি তাদের সঙ্গে বসবেন। বৈঠকের উদ্দেশ্য জাতীয় ঐক্য। তিনি জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আরটিভি/এমএ
মন্তব্য করুন
বিতর্কিত বক্তব্য: শোকজের জবাবে যে ব্যাখ্যা দিলেন সমন্বয়ক হাসিব
মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ হত্যা নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম। তার দাবি, সময়স্বল্পতার কারণে সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে আংশিক বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আন্দোলনের সমন্বয়ক এই তথ্য জানান।
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলামের টিভি টকশোতে আন্দোলন চলাকলে বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরবর্তীতে এই ঘটনায় তাকে বৈষম্যবিরোধী সংগঠন থেকে শোকজ করা হয়। তারই জবাব দিয়েছেন সমন্বয়ক হাসিব।
লিখিত জবাবে হাসিব বলেছেন, ডিবিসি নিউজের ‘প্রযত্নে বাংলাদেশ’ টকশোতে সময়স্বল্পতার কারণে আমার বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে আমার বক্তব্য কিছুটা অসম্পূর্ণ থেকে যায় এবং বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কিছুটা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আমার বক্তব্যে আমি মূলত বোঝাতে চেয়েছিলাম বিপ্লব কখনো নিয়ম মেনে হতে পারে না। পৃথিবীর প্রতিটি বিপ্লবই নিয়মের বাইরে গিয়ে সংগঠিত হয়েছে।
আমি আমার বক্তব্যে বোঝাতে চেয়েছি, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দম্ভের স্তম্ভ তাদের তথাকথিত উন্নয়ন প্রকল্প মেট্রো রেলে যখন তারা নিজেরাই আগুন দিয়ে তারপর সেটা নিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার মায়াকান্না জনমানুষের মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে এবং এই ক্ষোভ ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আন্দোলন ত্বরান্বিত করেছে।
আর জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী দোসর পুলিশ লীগ নির্বিচারে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা পরিচালনা করেছিল তখন দেশের সর্বস্তরের জনতা নিজেদের জীবন বাঁচাতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, যেটা ছিল মুক্তিকামী জনতার পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে ব্যবহার করে গণহত্যা পরিচালনা করছে এ জন্য এই অভ্যুত্থানে যত রক্তপাত হয়েছে এর দায় আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নিতে হবে এটা জনগণ উপলব্ধি করেছিল। এই দুটো বিষয় বোঝাতে গিয়ে সময়স্বল্পতার কারণে স্রেফ ঘটনা উল্লেখ করতে পেরেছি, পুরো বিষয় তুলে ধরা সম্ভব হয়নি।
আমার সাথে যোগাযোগ ও মতামত না নিয়েই আমার বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করছেন যা খুবই হতাশার।
আরটিভি/একে/এসএ
মিছিলের ডাক আ.লীগের, কোনো সুযোগ নেই বললেন প্রেস সচিব
আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি তুলে রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে। তবে দলটিকে ফ্যাসিবাদী উল্লেখ করে দেশের ভেতর তাদের সভা, সমাবেশ এমনকি কোনো ধরনের মিছিল করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে এ কথা জানান তিনি।
পোস্টে প্রেস সচিব লেখেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। বাংলাদেশে প্রতিবাদ করার মতো দলটির কোনো সুযোগ নেই। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে কেউ সভা, সমাবেশ ও মিছিলের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে।
অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সহিংসতা বা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গের প্রচেষ্টাকে বরদাস্ত করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন শফিকুল আলম।
উল্লেখ, শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় মার্চ টু জিরো পয়েন্ট কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নিতে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করে এ আহ্বান জানানো হয়।
আরটিভি/এআর/এসএ
১ জানুয়ারি থেকে স্মার্ট কার্ডেই মিলবে টিসিবির পণ্য
একটি পরিবার থেকে একজন ব্যক্তির টিসিবি কার্ড পাওয়ার কথা থাকলেও প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায় একাধিক ব্যক্তি এই সুবিধা নিচ্ছেন। এর ফলে ‘প্রকৃত সুবিধা দরকার’ এমন অনেকেই এই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে এই অবস্থা আর থাকছে না। বাতিল হচ্ছে হাতে লেখা কার্ডের প্রচলন। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আঞ্চলিক কার্যালয়ে রমজান উপলক্ষে আগাম প্রস্তুতিবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
এ সময় টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবীর বলেন, রমজান উপলক্ষে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেসব পণ্য আমদানি করা হয়, সেসবেরও প্রস্তুতি নেওয়া শেষ। রমজানে পণ্যের কোনো সংকট হবে না।
তিনি আরও বলেন, তেল, ডাল, চিনির পাশাপাশি খেজুর ও ছোলা ঢাকা ও অন্য সিটি করপোরেশন এলাকায় দেওয়া হবে। ছোলা ও খেজুরের জন্য এরইমধ্যে চুক্তি হয়ে গেছে। জানুয়ারির ভেতর পণ্য টিসিবির গুদামে চলে আসবে।
সরকারি বিপণন সংস্থাটির মুখপাত্র বলেন, একটি পরিবার থেকে যেন এক ব্যক্তির বেশি না পায়। এজন্য স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড করা হচ্ছে। ডিলারদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন ডিলার নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। ভবিষ্যতে ডিলারের প্রয়োজন হলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
হুমায়ুন কবীর বলেন, পণ্য স্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে বিঘ্ন হচ্ছে না। তবে মনিটরিংটা ঠিকমতো হচ্ছে না। ভোক্তার কাছে সঠিকভাবে যেতে যে সহযোগিতা দরকার, সেটাতে কমতি রয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সভার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরটিভি/আইএম/এসএ
শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী—ট্রাম্পের নামে প্রচারিত ভাইরাল উক্তিটি ভুয়া
এখনও শেখ হাসিনাকেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প—সম্প্রতি এমন একটি উক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। পোস্টটিতে সূত্র হিসেবে কমেন্টবক্সে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ‘ন্যাশনাল ডায়ালগস’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিওর লিংক।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য দাবি করে এমন একটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটিতে লেখা, ‘আমি মনে করি শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী: পিবিডি ব্রডকাস্টকে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই কথা বলেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অবৈধ দখলদার সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘যারা বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, তারা আমাকে পদত্যাগপত্রটি দেখান।’
পোস্টটিতে আরও লেখা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বাংলাদেশ–পাকিস্তানে কি হচ্ছে আমি সব জানি। এখানে সন্ত্রাসবাদের চাষাবাদ হচ্ছে।’
নুরুল আজিম রনি তার পোস্টটির সূত্র হিসেবে কমেন্টবক্সে যে ‘ন্যাশনাল ডায়ালগস’ নামের ইউটিউব চ্যানেলের লিংক দিয়েছেন, সেটি ভারতীয় একটি ইউটিউব চ্যানেল। তরুণ ঘোষ নামে কলকাতার একজন সাংবাদিক এই চ্যানেলে নিয়মিত তার নিজের মতামত ভিডিওর মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকেন। শনিবার চ্যানেলটিতে প্রচারিত একটি ভিডিওর শিরোনাম ছিল, ‘আমি মানি হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী: ট্রাম্প’।
ভিডিওটিতে তরুণ ঘোষ দাবি করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প জেতার পর গতকাল শনিবার একটি পডকাস্টে যোগ দিয়েছিলেন। পিবিডি পডকাস্ট নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ইউটিউব চ্যানেলে এটি আয়োজন করা হয়। পডকাস্টে বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেন ট্রাম্প। পডকাস্টটিতে কিছু কিছু ব্যক্তিকে ট্রাম্প শত্রুর তালিকায় রেখেছেন। এ তালিকায় এক নম্বরে আছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, এরপরই থাকবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলনস্কি...।
তরুণ ঘোষ আরও দাবি করেন, ট্রাম্প পডকাস্টে বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, এখানে স্বৈরতন্ত্র জেঁকে বসেছে এবং এখানে সন্ত্রাসবাদের একটা বীজ বোনা হচ্ছে।
এরপর ভিডিওটিতে তরুণ ঘোষ নিজের আরও বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন।
তবে, ফ্যাক্টচেক অনুসন্ধানে দেখা যায়, পিবিডি পডকাস্টে অংশ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য করেননি। তাছাড়া, পডকাস্টটিতে তিনি অংশ নিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সপ্তাহ দুয়েক আগে, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরে নয়।
প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে পিবিডি পডকাস্টের ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে ট্রাম্পের পডকাস্টটি পাওয়া যায়। চ্যানেলটিতে গত ১৭ অক্টোবর পডকাস্টটি প্রচার করা হয়। ১ ঘণ্টা ২৬ মিনিটের পডকাস্টটিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বারাক ওবামার ভূমিকা, কৃষ্ণাঙ্গদের ভোট, যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা, ইরানের ওপর অবরোধ, পররাষ্ট্র নীতি ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেন ট্রাম্প।
পডকাস্টটিতে পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কিত আলোচনায় ট্রাম্প জানান, তার সঙ্গে পুতিন ও জেলনস্কির ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তাই তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে উদ্যোগী হবেন।
পুরো পডকাস্টটিতে তাকে বাংলাদেশ নিয়ে কোনো আলোচনা করতে শোনা যায়নি। এমনকি, নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিয়ে টুইটটি ছাড়া ট্রাম্প বাংলাদেশ বা শেখ হাসিনা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন বলে কোনো তথ্যও দেশীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো সংবাদমাধ্যম সূত্রে পাওয়া যায়নি।
এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে বাংলাদেশের হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) গত ৩১ অক্টোবর একটি টুইট করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদেরওপর ‘বর্বর’ সহিংসতা চালানো হচ্ছে এবং তারা হামলা ও লুটপাটের শিকার হচ্ছেন। এসবের নিন্দা জানিয়ে টুইটটিতে তিনি লিখেন, বাংলাদেশ একটি সম্পূর্ণ “বিশৃঙ্খল” অবস্থার মাঝে রয়েছে।
এ অবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বাংলাদেশে এখন অন্যতম এক আলোচনার বিষয় সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কেমন হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ট্রাম্পকে অভিনন্দ জানিয়েছেন জুলাই বিপ্লবে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
এসবের মাঝেই সবশেষ শেখ হাসিনাকেই এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন ট্রাম্প—এমন খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশ।
আরটিভি/এসএইচএম/এআর
উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হচ্ছেন নতুন ৫ জন, সন্ধ্যায় শপথ
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে নতুন পাঁচজন যুক্ত হচ্ছেন। রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টাদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে, কারা নতুন উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দিচ্ছেন সে বিষয়ে এখন কিছু জানা যায়নি।
যাদের নাম আলোচনায়
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) থেকে সদ্য পদত্যাগ করা আহ্বায়ক ও সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, ড. মঞ্জুরুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ ছাড়া একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও নতুন উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হতে পারেন।
এর আগে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ গ্রহণ করেন। বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টাসহ এ সরকারের সদস্য ২১ জন। তাদের অনেকেই পালন করছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের তিনজন উপদেষ্টা তিনটি করে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। দুটি করে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন ১০ জন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে আছে ৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।
প্রধান উপদেষ্টা সামলাচ্ছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, খাদ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া অর্থ, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ; আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ড. আসিফ নজরুল।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের ওপর। লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সামলাচ্ছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়। হাসান আরিফ সামলাচ্ছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়। আদিলুর রহমান খান সামলাচ্ছেন শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নাহিদ ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আসিফ মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ফারুক-ই-আজম, বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে শারমীন এস মুরশিদ দায়িত্ব পালন করছেন।
আরটিভি/আরএ/এআর
নতুন উপদেষ্টারা কে কোন দপ্তর পেলেন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন তিন উপদেষ্টার দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে শপথ নেওয়ার পর রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাদের দপ্তর বণ্টন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে জানানো হয়, শীর্ষস্থানীয় শিল্প গোষ্ঠী আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা হয়েছে।
চলচ্চিত্র পরিচালক ও নাট্যকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা হয়েছে।
মাহফুজ আলমকে এখনও কোনো দপ্তর দেওয়া হয়নি।
নতুন করে তিনজন শপথ নেওয়ার পরে অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান উপদেষ্টাসহ মোট উপদেষ্টা হলেন ২৪ জন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সময় নিয়োগ পান ১৬ জন উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিনজন উপদেষ্টা ওইদিন শপথ নিতে পারেননি। তারা পরে শপথ নেন।
১৬ আগস্ট আরও চারজন উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারে যুক্ত হন। তখন এ সরকারে প্রধান উপদেষ্টাসহ মোট উপদেষ্টা হয় ২১ জন।
আরটিভি/ এমএ
উপদেষ্টাদের দপ্তর পুনর্বণ্টন
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়া নতুন তিনজনের মধ্যে দুজন এবং পুরনোদের মধ্যে এক উপদেষ্টাকে দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টাসহ বর্তমান উপদেষ্টাদের মধ্যে দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) নতুন শপথ নেওয়া উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন এবং পুরনোদের পুনর্বণ্টন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
শীর্ষস্থানীয় শিল্প গোষ্ঠী আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বশির উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা হয়েছে।
চলচ্চিত্র পরিচালক ও নাট্যকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন।
মাহফুজ আলমকে এখনও কোনো দপ্তর দেওয়া হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে, খাদ্য এবং বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ছিল তার দায়িত্বে।
সাহেল উদ্দিন দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের। এর আগে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে ছিলেন।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আসিফ নজরুলকে। এর আগে, তার দায়িত্ব সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ও ছিল।
হাসান আরিফের দায়িত্বে থাকবে ভূমি ও বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এর আগে, তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে ছিলেন।
আলী ইমাম মজুমদারকে দেওয়া হয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সামলাবেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এর আগে, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ও তার দায়িত্বে ছিল।
এম সাখাওয়াত হোসেনকে দেওয়া হয়েছে নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
শেখ বশির উদ্দিন পেয়েছে বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
আরটিভি/এমএ-টি