জিএসএমএ’র প্রতিবেদন
ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না শহরের ২৮ শতাংশ মানুষ
বাংলাদেশে লেখাপড়া না জানার কারণে শহরাঞ্চলে বাস করা অন্তত ২৮ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। একই কারণে গ্রামের ১৯ শতাংশ মানুষও ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না বলে গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) জানিয়েছে।
বৈশ্বিক সংগঠনটি এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলের ১২টি নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের মানুষের ওপর চালানো সমীক্ষা করে গত অক্টোবর মাসে প্রকাশিত এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এতে ২০২৩ সালের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। দেশগুলো হলো—মিশর, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, উগান্ডা, বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, গুয়েতেমালা ও মেক্সিকো। জিএসএমএর তথ্যমতে, পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর মধ্যেও আরও পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
যদিও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ জরিপের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭ দশমিক ৭ শতাংশ। গ্রামে এ হার ৭৪ দশমিক ৬ এবং শহরাঞ্চলে ৮৪ দশমিক ৮ শতাংশ। সেই হিসাবে গ্রামের চেয়ে শহরে সাক্ষরতার হার বেশি।
জিএসএমএ’র প্রতিবেদন দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রতিদিন নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হার শহরে ৪০ এবং গ্রামে ২৪ শতাংশ। আর মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের হার শহরাঞ্চলে ৪৩ শতাংশ এবং গ্রামে ২৭ শতাংশ। তবে তারা প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহার করে না।
সমীক্ষার তথ্যমতে. বাংলাদেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ মোবাইল ইন্টারনেট সম্পর্কে জানে। তবে শহরের বড় একটি অংশ সাইবার অপরাধ থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। তাদের মধ্যে যারা ব্যবহার করেন না তাদের ক্ষেত্রে সাক্ষরতা ও ডিজিটাল দক্ষতা না থাকা বড় একটি বাধা।
তবে গ্রামের মানুষের জানায়, সেখানে ইন্টারনেট ব্যাপারে সবচেয়ে বড় বাধা ইন্টারনেটের দাম, এরপরে ১১ শতাংশ মানুষের মতে, বেশি দাম দিয়ে স্মার্টফোন কিনে চালানোর সামর্থ্য তাদের নেই। এছাড়া শহরের ৮ শতাংশ মানুষও ইন্টারনেটের দাম বেশি বলে মনে করেন। তবে ‘যথেষ্ট সময়’ না থাকায় ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না কর্মজীবী মানুষেরা।
ইন্টারনেটের দাম ও কম ব্যবহার নিয়ে জানতে চাইলে মোবাইল অপারেটর রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজের খরচ কমানোও সম্ভব। তবে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়াতে হলে নীতিগত বিষয়ে পরিবর্তন দরকার বলে মনে করেন তিনি।
আরটিভি/কেএইচ-টি
মন্তব্য করুন