• ঢাকা শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

রাজনীতিবিদ-আমলা-ব্যবসায়ীরা মিলে লুটপাট চালিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে: ড. তামিম

আরটিভি নিউজ

  ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:২৬
রাজনীতিবিদ-আমলা-ব্যবসায়ীরা মিলে লুটপাট চালিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে: ড. তামিম
ফাইল ছবি

বিগত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতকে কুক্ষিগত রেখে সীমাহীন দুর্নীতি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম তামিম। রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ীরা মিলে এই দুটি খাতে লুটপাট চালিয়েছে বলে জানান তিনি।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ড. তামিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতা ছাড়াই বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করা হয়েছে। পিডিবির বিদ্যুৎ কেনা, সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ হয় এককভাবে। আমলা, রাজনীতিবিদরা এই একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করে সুবিধাভোগ করে। নিজস্ব ক্ষমতা সম্পন্ন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান দরকার। যার মাধ্যমে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করে দুর্নীতি কমিয়ে আনা সম্ভব।

শুধু আইন দিয়ে দুর্নীতি বন্ধ হয় না উল্লেখ করে এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেন, মাফিয়ারা আইনের মাধ্যমেই চুরি করেছে। কিছু ক্ষেত্রে আইনের ফাঁক রয়েছে। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া দরকার। তাহলে পরবর্তীতে কেউ এমন করার সাহস পাবে না। এজন্য শপথ নিতে হবে তরুণদের।

ড. তামিম বলেন, শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে ৩ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত মুনাফা দেখানো হয়েছে। কাগজ-কলমের মাধ্যমে আমরা দেখিয়েছি। কিন্তু কাগজের বাইরে যে লুটপাট হয়েছে, তা প্রমাণ করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, আদানির প্রজেক্টে কয়লার মূল্য অনেক বেশি ধরা হয়েছে। বাকি কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রে কয়লার দাম অনেক কম। ১০০ শতাংশ ক্যাপাসিটি চার্জ তো দিতে হবেই, সঙ্গে ৪০ শতাংশ বিদ্যুতের দাম দিতে হবে, ব্যবহার না করলেও। অন্যান্য ক্ষেত্রে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ দিলেই চলে। দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য তেলবিদ্যুতের বিকল্প ছিল। কিন্তু ২০১২-১৩ সালের পর কুইক রেন্টাল প্রয়োজন ছিল না।

ডোমেস্টিক সেক্টরে গ্যাসও চুরি হচ্ছে উল্লেখ করে এ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেন, সার্বক্ষণিক দুই চুলা ব্যবহারের খরচ ১৪০০ টাকা। দুই সিলিন্ডার ব্যবহারে লাগে ২৮ হাজার। তফাত কম হলে চুরি কম হতো। যেহেতু পার্থক্য বেশি, সেহেতু অবৈধ সংযোগে ঝোঁক বেশি। এটি বন্ধ করতে কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার।

তিনি আরও বলেন, বিপিসি বাংলাদেশের সবচেয়ে অস্বচ্ছ একটি প্রতিষ্ঠান। এর সঙ্গে সরকারি স্বার্থ জড়িত। লস দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ হাতানোর কারণে একে অস্বচ্ছ রাখা হয়েছে। এর নিয়ন্ত্রণ বিইআরসির হাতে দেওয়া উচিত। বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার দরকার আছে, কিন্তু তা অবশ্যই ন্যায্যতার ভিত্তিতে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতির জন্য বিগত সরকারের রাজনীতিবিদ অপেক্ষা আমলারাই বেশি দায়ী’ শীর্ষক ছায়া সংসদে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি—বাংলাদেশ এর বিতার্কিকদের পরাজিত করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক শাহনাজ বেগম, ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক রফিকুল বাসার, সাংবাদিক রিশান নসরুল্লাহ। প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

আরটিভি/এসএইচএম/এস

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জ্বালানি খাতের সবচাইতে অস্বচ্ছ একটি প্রতিষ্ঠান বিপিসি: ড. তামিম
জামিনে মুক্তি পেলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯ কর্মকর্তা
মার্চে চালু হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
সিলেটে শনিবার ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়